ঢাকা, বুধবার, ১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ভোলার তেতুলিয়া নদীতে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড
বোদায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮৬ পিস নেশাদ্রব্য ইনজেকশন সহ আটক ২
বৈষম্যহীন সূদ-ঘুষমুক্ত উন্নয়নধর্মী কাজ করতে প্রানান্ত চেষ্টা করবো- এমপি প্রার্থী এড.আবুল কালাম
ফুলবাড়ীতে আপন বড় ভাই ও ভাতিজাকে মারধরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।
পিরোজপুরে শহীদ জিয়া স্মৃতি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
সুন্দরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন সড়কে সেনা ও পুলিশের চেকপোস্ট
সম্পন্ন হলো কপিলমুনি ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভা
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পিরোজপুরে নিমগাছ রোপন
হাতিয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
রূপসায় মায়ের উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
বৈষম্যহীন সুদ-ঘুষমুক্ত উন্নয়ন ধর্মী কাজ করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করবো- এড.আবুল কালাম
রূপসায় ভ্যান চালক রবিউলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১
নওগাঁর রাণীনগরে আইডিয়াল একাডেমির ঈদ পূনর্মিলনী

হবিগঞ্জের উমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

মোঃ তপু আহমেদ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের উমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে। এরপর থেকে ভবনটিতে আর কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। বর্তমানে ভবনের ছাদ, দেয়াল, পিলার ও মেঝেতে দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। বর্ষায় ফাটল দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করে, এতে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে যায় এবং পাঠদান ব্যাহত হয়।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী, মিতু, আয়শা এবং ৩য় শ্রেণির শারমিন, রশ্নী ও সাজিব বলেন, আমাদের শ্রেণিকক্ষের দেয়াল ও ছাদে বড় বড় ফাটল। ছাদের রড বের হয়ে আছে। আমরা খুব ভয় পাই। যদি একটা নতুন স্কুল বিল্ডিং হতো, তাহলে আনন্দ করে পড়তে পারতাম।

অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা প্রতিদিন ভয় নিয়ে সন্তানকে স্কুলে পাঠাই। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত নতুন ভবন দরকার।বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক জানান, ভবনটি দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির কক্ষের ছাদ ও দেয়াল ভেঙে পড়েছে এবং চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে রয়েছে বড় বড় ফাটল। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষেই ছাদের রড বের হয়ে আছে ও ধসের ঝুঁকি রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আ. মতিন বলেন, আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করব। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে যেন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশাহিদ মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আগে কেউ জানায় নি। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, আমি প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টি দেখব এবং প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

শেয়ার করুনঃ