ঢাকা, শুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে নবীগঞ্জে আলোচনা সভা
ঈদ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যাব এর বাড়তি নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বসিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি
পটুয়াখালী এলএ শাখার চিহ্নিত দালাল মির্জা সুবেদ আলী রাজা আটক
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তী
৭ দিনে সেনা অভিযানে গ্রেফতার ৩৯০, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ
প্রতিকূল আবহাওয়ায় গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিল কোস্ট গার্ড
খিলগাঁও থেকে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
টিকটকে পরিচয়,আবাসিক হোটেলে নিয়ে খুন,অতঃপর
জলাবদ্ধতা নিরশনে ডিএনসিসির জরুরি কন্ট্রোলরুম স্থাপন
মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে মহসিন-মিয়াজী
নবীগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী দিনে জনসচেতনতামূলক সভা
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ৩ হাজার পদে নিয়োগ
ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তায় ৭৪ জন আনসার মোতায়েন
সুন্দরগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতীশিলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ
রূপসায় ৬০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত করেন বাংলার বীর মুক্তিকামী সন্তানেরা। বাঙালির ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীর অবদান ছিলো অপরিসীম।

চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা। এসময় শহীদদের সম্মানে সেলুট প্রদান করা হয় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা স্যারের নেতৃত্বে।

বাঙালির ইতিহাসে গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ।স্বাধীনতা সংগ্রাম যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীর অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ভারত সীমান্তবর্তী এ চুয়াডাঙ্গার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় এখানে। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন রেডক্রস বর্তমান রেডক্রিসেন্ট। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বপ্রথম ২০৪ জন মুজাহিদ ও আনসারকে একত্রিত করা হয়। ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে।এদিকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌছুলে ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীরা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।

উক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান; ডিআইও-১,ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান; সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান; ট্রাফিক বিভাগের টিআই প্রশাসন ওলিউজ্জামান,; পুলিশ সুপার ক্রাইম সেকশন কে এম জাহাঙ্গীর আলম, ; সদর ফাড়ির ইনচার্জ হোসেন আল মাহাবুব, ; পুলিশ লাইনের আর,আই মোঃ আমিনুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গাসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ফোর্সবৃন্দ।

শেয়ার করুনঃ