আমতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি ঃ বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক মোঃ শাহীন খানকে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় আমতলী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে
ঘন্টাখানিক মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পল্লী চিকিৎসক ও শ্রমিকদল নেতা মোঃ শাহীন খানের পিতা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ খান মজনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা, যুগ্ম আহবায়ক মকবুল হোসেন খান, মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল বাশার, সদস্য সচিব মো. জালাল আহমেদ খান, বরগুনা জেলা জেলা শ্রমিকদল সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. জালাল মৃধা, বরগুনা জেলা যুবদল নেতা , আমিনুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারন সম্পাদক মো. কামাল বিশ্বস, আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ খান তাপস, শ্রমিকদল নেতা রিয়াদ খান, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মো. হেলাল চৌকিদার, সদস্য সচিব মো. ইমরান খান. নিহত শাহিন খানের ভাই তুহিন খান, শাহিন খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম, ছেলে বায়েজিদ খান চয়ন, সাবেক কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম প্রমুখ। নিহত শাহীন খাঁনের ছেলে বায়েজিদ খাঁন চয়ন বলেন, কাজল মৃধা ও ইসাহাক মৃধা ও সাহারুল নির্যাতন করে আমার পিতাকে হত্যা করেছে আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, আমতলী সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক শাহীন খানকে খুরিয়ার খেয়াঘাটের একটি স্বমিলের ভাড়াটিয়া মালিক কাজল মৃধা রবিবার রাত আড়াইটার দিকে রোগী দেখার কথা বলে
ডেকে নেয়। পরে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সাকিব খাঁনের বাসার পাশে নিয়ে তাকে কাজল মৃধা,ইসাহাক মৃধা,সাহারুলসহ ৮-১০ জনে মারধর করে। ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে শাহীন খাঁনের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সাকিব খাঁন বাহিরে বের হয়। পরে সড়কের ওপরে কাজল মৃধা, সাহারুল ও তার স্ত্রীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসে। ওই সময় কাজল মৃধা পল্লী চিকিৎসক শাহীন খাঁনকে লাথি মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয় এবং লাঠি দিয়ে মারতে দেখে। এ সময় সাকিব খাঁন তাকে (কাজল) বাঁধা দেয়। সোমবার সকালে আহত শাহীন খাঁনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ সুমন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে তিনি মারা যান। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়ূন আহমেদ সুমন বলেন, শাহীন খাঁনকে কিছু লোক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তার শরীর দুর্বল ছিল। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছি। শুনেছি তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা শাহিন খানের মৃত্যু রহস্য উৎঘাটন করে হত্যা কারীদের দ্রুত বিচারের দাবী জানান। এ বিষয় আমতলী তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চিকিৎসকের দেয়া মৃত্যু সার্টিফিকেট অনুসারে মরদেহের ময়না তদন্ত করা ও মামলা নেয়া হয়নি।