
কক্সবাজার ও বান্দরবানের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনুর রহমান প্রকাশ শাহীন ডাকাত (৩৭) ও তার সহযোগী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রিজভি (২৫) বাবুল (২৪) অস্ত্র এবং মাদকসহ গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে রামু গর্জনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
আটককৃত শাহীন রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা এলাকার মো.ইসলামের পুত্র ও রফিকুল ইসলাম রিজভি রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড় জামছড়ি পাহাড় এলাকার বাদশা মেস্তরীর ছেলে অপরজন মাঝির কাটা গ্রামের বাবুল (২৪) বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়,
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের তন খ্যাত জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শাহীনুর রহমান শাহিনম ও তার অন্যতম দুই সহযোগীসহ যৌথ বাহিনীর একটি চৌকস টিম রামু গর্জনিয়া থেকে তাদের কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সান্ত্রাসী শাহীনের বাড়ীতে যৌথ বাহিনীর প্রেস ব্রিফিং এ জানায়,
গ্রেফতারকৃত শাহীনুর রহমান আন্তঃজেলার একজন শীর্ষ ডাকাত। ডাকাতি, মাদক,গরু অস্ত্র সহ চোরাকারবারীদের সহযোগীতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ভয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির ৬ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছিল।
সে প্রায়ই রাতের বেলায় রামু উপজেলার গর্জনিয়া-,কচ্ছপিয়া, কাউয়ার খোপ ও ঈদগড়,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী,দোছড়ি,সোনাইছড়ি ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দলবলসহ সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত।
গত কয়েক মাস মধরে এই চক্রটির ডাকাতি ও অপহরণের ভয়ে স্থানীয়রা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে দিনযাপন করে।
সম্প্রতি চোরাই গরু আটকের সময় বিজিবির উপর হামলার পর থেকে শাহীনের সাম্রাজ্যে নড়বড় শুরু হয় গত ১ জুন সংগঠিত ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে গর্জনিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কামন্ডার ও অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস।
তিনি জানান,তাকে গ্রেফতারে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন।
স্থানীয়রা জানান ,চোরাচালান সাম্রাজ্য মজবুত করার জন্য শাহীন সীমান্তে এমন কোন অপরাধ নেই করেননি। তার হাতে এপর্যন্ত ১১ জন নিরীহ মানুষ খুন হয়েছেন। খোদ তার নিজদলের মানুষও খুন হয়েছেন শাহীনের হাতে।
গ্রেফতারকৃত শাহীনের বিরুদ্ধে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় প্রায় ২২টি ডাকাতি,অস্ত্র, মাদক ও হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।
সে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী।