জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৪ মে) সকাল থেকে এ খবর লেখা পর্যন্ত উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চাল বিতরণে এ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, চাল বিতরণকালে পরিষদে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার আঃ মজিদ ভুইঁয়া উপস্থিত থাকার পরেও প্রত্যেক উপকারভোগীকে ১ কেজি করে চাল কম দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি চালের ওজন মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। একটি বালতিতে করে মনগড়াভাবে চাল বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের ঈদ উপহার (ভিজিএফ) এর চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। উপকারভোগীদের বালতি দিয়ে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা চাউল তুলে দিচ্ছেন, ইউপি সদস্যগন পাশেই বসা। ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিস কক্ষে বসে কাজ করছেন আর ট্যাগ অফিসার তার সাথে খোঁশ গল্পে মগ্ন। বালতি দিয়ে পরিমাপ করে চাউল দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ ১০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছেনা।
একাধিক উপকারভোগী জানান, প্রত্যেক দরিদ্র উপকারভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি করে। প্রত্যেককের চাল কম দেওয়া হয়েছে।
কুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তি বলেন,চাল দেওয়ার কথা ১০ কেজি।কিন্তু মেপে দিলো বালতি দিয়ে।১০ কেজি হবেনা।কমই হবে।
আরেক নারী চাল তুলে যাচ্ছেন আর বলেন এই চালের জন্য আসছিলাম? ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কম হবো।
প্যানেল চেয়ারম্যান আবু হুরায়রার সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
ট্যাগ অফিসার আঃ মজিদ ভুইয়া বলেন আমি এতক্ষণ চাল বিতরণের ওখানেই ছিলাম।চাল কম দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।চাল দেওয়া হচ্ছে সাড়ে কেজি।
এ প্রসঙ্গে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম আলমগীর জানান, বিষয়টি মাত্র জানলাম। নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।