নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মামলা প্রত্যাহার না করায় সাবেক এক প্রধান শিক্ষককে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে এই ঘটনায় সাবেক এই প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
শংকর চন্দ্র দাস ওছখালী কে এস এসে উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ী চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাজের হাওলা গ্রামে। অভিযুক্ত নোবেল চন্দ্র দাস একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি।
অভিযোগে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস এর সাথে জায়গা জমি নিয়ে প্রতিবেশি যুবলীগ নেতা নোবেল চন্দ্র দাসদের বিরোধ চলে আসছে। প্রধান শিক্ষককের ক্রয় করা সম্পত্তি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন । এজন্য তারা উক্ত ভুমি থেকে জোরপূর্বক ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন উক্ত প্রধানশিক্ষক। উক্ত মামলায় নোবেল দাস বেশ কিছু দিন জেল হাজতে ছিলেন।
জেল থেকে বের হয়ে নোবেল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে শংকর দাসকে চাপ দিতে থাকে। সাবেক এই শিক্ষকের ছেলে মেয়েরা ভারতে অবস্থান করায় তিনি বাড়ীতে স্ত্রীকে নিয়ে একা বসবাস করছেন। এদিগে ঘটনার (২৭মে) দিন নোবেল দাস কয়েকজন সন্ত্রাসী সহ শংকর চন্দ্র দাসের বাড়ীর দরজায় এসে তার উপর আক্রমন করে। তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। পরে বাড়ী থেকে তার স্ত্রী এসে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে রক্ষা করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় সাবেক এই শিক্ষককে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় থেমে নেয় ঐতিহ্যবাহী সরকারি কেএসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুধবার (৪ জুন) সকালে হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুর রব রাশেদ, শ্রী কৃষ্ণ দাশ, মো. মিলন উদ্দিন, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন,হুমায়ূন কবির,মফিজ উদ্দিন সহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ ধরণের কর্মকান্ডকে খুবই মর্মান্তিক ও লজ্জাস্কর হিসেবে উল্লেখ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক দুস্কৃতিকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার সাথে সাথে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।