
রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম) জেলা প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গরুর হাটগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদিপশুর বেচাকেনা চলছে জমজমাট ভাবে।
বছর কয়েক আগে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় খামারিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও এ বছর অনেকটাই আশার আলো দেখছেন তারা। দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে গরুর দাম ও চাহিদা। ফলে বিক্রেতারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার সহ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
যাত্রাপুর হাটে সরে জমিনে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। নদী ও চরাঞ্চলের সন্নিকটে হওয়ায় এখানে দেশি গরুর উপস্থিতি বেশি। প্রাকৃতিকভাবে খাবার খেয়ে বড় হওয়া দেশি গরু ছাড়াও খামারে পালন করা ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুও বিক্রি হচ্ছে এ হাটে। হাটে গরু আমদানি ও রপ্তানিও ভালো হচ্ছে।সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী নিয়মিত তদারকি করছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।সেদিকে রয়েছে তীক্ষ্ণ নজর। কুড়িগ্রাম সদর থেকে যাত্রাপুর হাটে আসা মজিবর রহমান মিন্টু বলেন, দাম মোটামুটি ভালো, আশা করছি সাধ্যের মধ্যেই একটি গরু কেনা যাবে।গরু বিক্রেতা মো. মকবুল হোসেন বলেন, প্রায় ৪ মণ ওজনের দেশি গরু দাম চাচ্ছি এক লাখ টাকা এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার পর্যন্ত বলেছে ক্রেতারা। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ বছর কুড়িগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯টি পশুর হাট রয়েছে। জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৬টি। যেখানে চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮০টির। ফলে ৫৭ হাজার ৬৪৬টি অতিরিক্ত পশু অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে। প্রতিটি উপজেলায় ভেটেরিনারি টিম গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ জাল নোট শনাক্ত, অতিরিক্ত মূল্য আদায়, চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ক্রেতা বিক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে পশু বিক্রি এবং কিনে নিয়ে নিজ বাসস্থানে যেতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।