ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট প্রশ্ন কোথায় বসে টাকার হিসাব করছেন-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
আসামি না হয়েও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারের পর বেলজিয়াম প্রবাসী আ’লীগ সভাপতির মৃত্যু
ঝালকাঠিতে পরীক্ষার প্রথম দিনেই একজন বহিষ্কার, চার শিক্ষককে অব্যাহতি
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত -২
ফরিদপুরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‌সংহতি জানিয়ে বিএনপির কর্মসূচি
কুষ্টিয়ায় চোর সন্দেহে রিক্সাচালককে হত্যার অভিযোগ
সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আস্কারপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচারকে নান্দাইল যুব ফোরামের লাল কার্ড
দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে অভিযান করবে ডিএনসিসি:ডিএনসিসি প্রশাসক
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
কয়লার চেয়ে প্রাণ দামী: বাঁশখালীর শহিদদের স্মরণে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
চাঁদাবাজি ও নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত হলেন আনন্দ টিভির সাবেক ডিএন‌ই প্রশান্ত দাশ কথা
ব্যবসায়ীকে মারধর, ছিনতাই, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন: শ্রমিক দল নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে এবার নান্দনিকভাবে শুরু হচ্ছে বিঝু, বৈসু,সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিষু উৎসব- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাঁচবিবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মামলায় বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা, তার বোন সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দাশ এর আদালত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, দীর্ঘ তদন্তের পরে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ করে ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন, ই-অরেঞ্জ মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বিগত ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেন রিয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল আবসার পারভেজ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন সময় পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন বাদী। নির্দিষ্ট সময়ের পরও তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশের প্রায় ১ লাখ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে বাদিসহ তিনজনের ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকাও রয়েছে।

জানা গেছে, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা হতে থাকলে, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে ভারত চলে যান। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের আদালতে তার তিন বছরের জেল হয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সোহেলকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একটি মানিলন্ডারিং, দুটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এবং বাকিগুলো প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে।

শেয়ার করুনঃ