
পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ে ক্ষমতার জোরে জমি দখলের চেষ্টায় আজিজার রহমান নামের এক ব্যক্তির প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কেটে নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবলা। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ে’র বোদা উপজেলার বগদুলঝুলা এলাকার মুন্সীপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অন্তর্গত উত্তর টোকরাভাষা মৌজার জে. এল. নং -১০৫ এর মধ্যে এস এ ১৬নং খতিয়ানের আর এস ১৭নং খতিয়ান ভূক্ত এস.এ ৪৭৪, বর্তমান রেকর্ড আর.এস ৪২৬নং দাগে গত ১৩-১১-১৯৭৬ইং তারিখের ৫৬৩৯ নং দলিল মূলে ক্তভোগী মোঃ আজিজার রহমান (৫২) এর পিতা মৃত বদিউজ্জামান সরকার ক্রয় করে। এর পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে মৌসুমি চাষাবাদ করে আসতেছেন। গত বোরো রোপণ মৌশুমে ভুক্তভোগী মোঃ আজিজার রহমান স্থানীয় দিনমজুরদের মাধ্যমে জমি প্রস্তুত, ধানের চারা রোপণ, নিজে এবং দিনমজুরদের মাধ্যমে পরিচর্যা করেন। ধান কাটার জন্য প্রস্তুতি পাচ্ছিলাম। জমি আমার বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবলা, মোঃ ফতেনুর আলম, মোঃ বাদল ইসলাম, মোঃ রাশেদ ইসলাম জমি জবরদখল করার পাঁয়তারা করে। এর মধ্যে তারা জমির মালিকানা দাবি করে আমার বিরুদ্ধে বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর কাছে অভিযোগ করে। সেখানে কোন প্রকার মালিকানা প্রমাণ সরুপ কাগজপত্র উপস্থাপন করেন নি। তারা আমার জমি জবরদখল করবে এমন হুমকি ধমকির পর আমি ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে ২৭-০৫-২০২৫ইং তারিখে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে প্রার্থনা করি। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি এটা বুঝতে পেরে ঐদিনে প্রতিপক্ষ মোঃ বাবলার নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন সহ জমির ধান কর্তন করে নিয়ে যায়। সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দিনমজুর আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা আজিজার রহমান এর সাথে বিঘা চুক্তিতে ধান রোপন করি। এর আগেও অনেক বার ঐ জমিতে আমরা দিনমজুর এর কাজ করেছি। এখন ঐখানকার লোকজন জমির ধান কেটে নিয়েছি। একই কথা বলেন স্থানীয় আরো অনেকেই। সকলেই সুষ্ঠু তদন্ত সাপক্ষে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বাবলা এর বাবা এবং মা উভয়ে আজিজার রহমান এর বাবার কাছে দুই বিঘা জমি বিক্রি করে । এর মধ্যে কিছু জমি বেদখল ছিল আজিজার রহমানের। তবে চলতি মৌশুমে বোরো ধান রোপণ করে আজিজার রহমান। পরে বাবলা ধান কেটে নিয়েছে।