
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মনগড়া কাজ করে ও অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমান টাকার মালিক বনে যাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
তার মধ্য অন্যতম হলেন,ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন মহাখালী আঞ্চলিক শাখা ট্রেড লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন শাখার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী ও বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সক্রিয় সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ।খবর নিয়ে জানা যায় তৎকালীন দিপু ও নজরুলের কমিটির অন্যতম সদস্য ও অর্থের যোগানদাতা ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
অভিযোগ আছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম সোহেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হওয়ার সুবাধে খুব অল্প সময়ে পুলে পেঁপে বটগাছ বনে গেছেন ।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আঞ্চলিক শাখা ট্রেড লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন শাখার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের প্রভাব খাটিয়ে অল্প সময়ে বনে গেছেন কোটিপতি ।সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূন্য শাখা হলো ট্রেড লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন শাখা। হাবিবের বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন ফ্যাসিস্টের আমলে নিজ কর্মস্থলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রতি নিয়ত শোডাউন দিতেন ।যাতে করে তার কাজে কেউ কখন ও বাঁধা দিতে না পারেন।বর্তমানে একই কায়দায় কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছেন এই নামধারী ছাত্রদল নেতা।
সরকারী বিধির বাহিরে থেকে শতশত মানুষকে অবৈধ উপায়ে ট্রেড লাইসেন্স জন্ম নিবন্ধন করে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।
আর এই সমস্ত ধান্দার কাজে তাকে সহযোগিতা করতো ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ও তার আপন ফুফাতো ভাই সোহাগ ও তার ছোট ভাই তাওহীদ।
সিটি কর্পোরেশনের কোনো কর্মচারী না হয়েও ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার সুবাধে তাওহীদ হাবিবের সাথে বসে একই অফিসে কাজ করেন ।যাহা সম্পূন্ন বেআইনী ও অবৈধ।
এরই মধ্য তার ছোট ভাই তাওহীদ বাড্ডা থানার বিপ্লব হত্যার মামলার অন্যতম আসামি ।পুলিশ ও সিআইডির হাত থেকে ছোট ভাইকে বাঁচার জন্য থানা ব্যালেন্স করে চলছে বলে ও অভিযোগ আছে হাবিবের বিরুদ্ধে।
একবার সিআইডির হাতে এরেস্ট হওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও হাবিব তার ভাইয়ের জন্য মোটা অংকের বাড্ডা টাকা দিয়ে ভাইকে ছাড়িয়ে এনেছেন বলে জানা যায়। হাবিবের বাবা সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিষ্কার পরিশ্রম কর্মী।
নামপ্রকাশে অনুচ্ছুক বাড্ডায় থাকা তার এক আত্নীয় বলেন কিছুদিন আগে উত্তর বাড্ডায় বাজারের গলিতে ১২০০ স্কয়ার ফিটের নিজের নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেন ।অভিযোগ আছে একাধীক বিয়ে ও করেছেন হাবিব।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বাড্ডার স্থানীয় একজন বলেন,বর্তমানে হাবীব বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে প্রতিনিয়ত উঠাবসা করেন ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ছাত্রলীগের তারা আমার ভাই-বাদ্রার্স ও বন্ধু
ছিলেন তাই তাদের সাথে ঘুরছি ফিরছি আড্ডা দিছি।
আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।চাকুরীর পাশা-পাশি রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছি মর্মে কেটে দেন।