
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুই অংশই পৃথক পৃথক ভাবে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মনজুরুল ইসলাম মনজুর নেতৃত্বে ৩০ মে শুক্রবার বিকাল ৫ টায় সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে শোক রেলী পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুরাতন শহীদ মিনার মোড় বিজয় চত্তরে বিশেষ দোয়া ও তোবারক বিতরন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাহার, সাধারণ সম্পাদক নমিরুল ইসলাম চৌধুরী সেনা, নিজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস, উপজেলা বিএনপি’র নেতা শওকত জুলিয়াস জুয়েল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানভীর চৌধুরী সহ বিএনপি’র বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মনজুরুল ইসলাম মনজু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাকে হত্যা করে। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
অপর দিকে একই সময় উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব জাকির হোসেন ধলু শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছেন বীরগঞ্জ পৌর শহরের থানা মার্কেটের সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যেমে।
আলোচনা সভায় আলহাজ্ব জাকির হোসেন ধলু বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।
উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি কামরুজ্জামান লব এর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমরাও কোন চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেই না। আপনারা দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজী করলে যেভাবে ধরিয়ে দিয়েছি, জনগন ও বিএনপিকে সাথে নিয়ে আগামীতেও ধরিয়ে দিবো।
এ সময় অন্যান্নদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম প্রধান, উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক আসাদুল ইসলাম দুলাল প্রমুখ। বিএনপি’র বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।