
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৭ মে৷) রাতে ঢাকার পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (২৮ মে) সকালে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার হওয়া মুক্তার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মান্নানকে ঘরে থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে, রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। গ্রেফতার মুক্তার ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, শাহ জালাল ও ইয়াসিন আরাফাত রাফি। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল পলাতক শাহজালালকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর এর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, ‘যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মুক্তারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর সহযোগিতায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিআই/এসকে