
সাইদ সাজু, তানোর থেকেঃ রাজশাহীর তানোরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বড় ভাই আব্দুল মান্নানের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন ছোট ভাই আব্দুল হান্নান ওরফে মিলন। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের গোকুল মথুরা মহল্লায়। এঘটনায় বড় ভাই আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে ছোট ভাই আব্দুল হান্নান ও পিতা মহাসীনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও মহল্লাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার মথুরা মৌজার, জে-এল নং ১৫৩, আরএস খতিয়ান নং ২০৯, আরএস দাগ নং ২২৯, শ্রেণী ধানী, পরিমাণ ০.০৪৫০ একর জমি ১৯৮০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৩১৬৫ নং বিক্রয় কবলা দলিল মূলে খতিজান বিবির কাছ থেকে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন বড় ভাই আব্দুল মান্নান। গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ সকালে বড় ভাই আব্দুল মান্নান তার বাড়িতে যাতায়াতের ভাঙ্গা রাস্তায় মাটি দিয়ে ঠিক করছিলেন।
এসময় ছোট ভাই আব্দুল হান্নান ও পিতা মহাসীন হাজী ঘটনাস্থলে এসে মাটি দিয়ে রাস্তা ঠিক করতে নিষেধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনার পর দিন বড় ভাই মান্নান বাদি হয়ে ছোট ভাই হান্নান ও পিতা মহাসীনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করার খবর পেয়ে বড় ভাই আব্দুল মান্নানের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তায় মাটি দিয়ে দেয়াল দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
তানোর থানায় দায়ের করা অভিযোগে বড় ভাই আব্দুল মান্নান উল্লেখ করেছেন, আমার ক্রয়কৃত উক্ত সম্পত্তি আমার পিতা হাজী মহাসীন আলী ২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মিথ্যা তথ্য ও ৫৯৬০ নং একটি ভুয়া দলিল করেন। পরবর্তীতে আবারও একই সম্পত্তি নিয়ে গত ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ১০৩৫০ নং আরো একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে ছোট পুত্র হান্নানকে দেন। অথচ এসব দলিল রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো ভলিওমে নাই।
এদিকে ১নং বিবাদী আব্দুল হান্নান ভুয়া দলিলগুলোর খারিজ করে ২ ও ৩ নম্বর বিবাদীকে হেবা ঘোষণা করিয়া দেয়। উক্ত খারিজের কেস নম্বর-১৫৫৯/IX-I ২০১৬-২০১৭।
ওই সব ভুয়া দলিলের মাধ্যমে গত ২০১৯ সাল থেকে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে আছে। এর প্রেক্ষিতে ১ বছর আগে তানোর পৌর সভার ৭ ওয়ার্ড কাাউন্সিলর আরব আলী ও তানোর পৌরসভা সার্ভেয়ার তারেক রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিততে উপরোক্ত বিবাদীগণকে নিয়ে পর পর দু’বার সালিসি বৈঠকে বসে বিষয়টি সামাধান করে নিতে চাইলে বিবাদীগণ আমাকে উক্ত সম্পত্তি ফিরািয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু অধ্যবদি না দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।