
সাইদ সাজু, তানোর থেকে ঃ রাজশাহীর তানোরে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত অবস্থায় অবস্থান করছেন বিএনপি অপর দিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলীয় কার্যক্রম ও গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে জামায়াত ইসলাম। তবে, অন্য কোন দলের কোন নেতা কর্মি মাঠেও নেই নেই তাদের কোন কার্যক্রম। তানোরে বিএনপির লবিং গ্রুপিং এর কারনে বিএনপির ২ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সাধারণ জনগনের মধ্যে এক রকম হতাশা ও আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ২ কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মিদের নামে পৃথক ২ টি হত্যা মামলায় একাধিক নেতাকর্মি কারাও ভোগ করেছেন। একই সাথে তানোর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটিও ভেঙে দিয়েছে জেলা বিএনপি।
তানোর উপজেলায় বিএনপি ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে খন্ডে খন্ডে রুপান্তরিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনের ছত্রছায়ায় থাকা মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে খন্ডে খন্ডে অবস্থান করছেন বিএনপির নেতাকর্মি ও সমর্থকরা। এর মধ্যে একটি গ্রুপ রয়েছে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের সাথে। অপর একটি গ্রুপ রয়েছে মফিজ উদ্দিনসহ মালেক মন্ডলের সাথে। অপর দিকে আরো একটি গ্রুপ রয়েছে যারা এই গ্রুপের বাইরে রয়েছে। তবে, সবাই মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনের সাথেই রয়েছে।
অপর দিকে বিএনপির একটি বড় অংশ এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছে। সব মিলিয়ে তানোরে বিএনপির এখন ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে খন্ডে খন্ডে অবস্থান করছেন। অপর দিকে তানোর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী ঐক্য বদ্ধ থেকে সাবেক সাংসদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান পক্ষেই ঐকবদ্ধ ভাবে মাঠে সক্রিয় থেকে সভা সমাবেশ ও গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। তবে, বিএনপির মধ্যে ৪ ভাগে বিভক্ত থাকলেও মাঠ পর্যায়ে সবাই নিজ নিজ গ্রুপ নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারন জনগনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির নেতারা ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করায় সাধারণ কর্মি ও সমর্থকসহ সাধারন মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। একই সাথে বিপাকেও পড়েছেন সাদারণ কর্মী ও সমর্থকরা। বিএনপির সাধারণ সমর্থক ও কর্মীরা বলছেন, কোন কাজে এক নেতার কাছে গেলে অন্য নেতারা মন খারাপ করে লবিং গ্রুপিং এর মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। এসব নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মিদের রসানলে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে চরম বিপাকে পড়ার পাশাপাশি চরম আতংক বিরাজ করছে সাধারণ কর্মী সমর্থকসহ জনগন জনগনকে।
শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, তানোর উপজেলা বিএনপির লবিং গ্রুপিং বহু আগে থেকেই চলে আসছে। এই লবিং গ্রুপিং থাকবেই। এই লবিং গ্রুপিং স্থানীয় ক্ষমতা ও নেতৃত্বের লবিং গ্রুপিং। সব দলেই থাকে তানোরেও রয়েছে। তবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দুড়ান্ত হলে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই সবাই ঐক্যবন্ধ ভাবে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে সবাই কাজ করবে। ফলে তখন আর কোন লবিং গ্রুপিং থাকবে না। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন, ও সুলতানুল ইসলাম তারেকসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
অপর দিকে তানোর উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মি ও সমর্থকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মজিবুর রহমান। তাকে বিজয়ী করার লক্ষে সভা সমাবেশ ও পথসভাসহ গনসংযোগ অব্যাহত রয়েছে।