
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:বরগুনার বেতাগী উপজেলায় নুসরাত বেগম (১৭) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে এটি আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও, নুসরাতের স্বজনদের অভিযোগ—তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী বাবু খান পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল তিনটার দিকে, উপজেলার চান্দখালী এলাকায়। নুসরাত বেগম ওই গ্রামের মো. বাবু খানের স্ত্রী এবং জামালপুর জেলার তিতপাল্লা ইউনিয়নের মাগুরীপাড়া গ্রামের দিনমজুর দুলাল উদ্দিনের মেয়ে।
স্বজনদের ভাষ্য মতে, নুসরাত নারকেলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে তার বড় ভাই ঢাকার সাভারে একটি গার্মেন্টসে কাজের ব্যবস্থা করেন। সেখানেই গত ৩ আগস্ট বাবু খানের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং অল্প সময়েই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের ১৫ দিনের মাথায় নুসরাত চলে যান বাবু খানের বাড়ি।প্রথমদিকে শ্বশুর-শাশুড়ি বিয়েতে সম্মতি না দিলেও, বাবু খানের দাদার উদ্যোগে গত ১৮ আগস্ট স্থানীয় এক হুজুরের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে নুসরাত তার স্বামীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে গেলে পরিবারও সম্পর্ক মেনে নেয়।
তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। বাবু খান কোনো কাজ না করায়, নুসরাত তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন। ২০ মে তারা গ্রামের বাড়িতে ফেরেন, আর এর তিনদিন পরই ঘটনার সূত্রপাত।
চান্দখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে একটি ওড়না ঝুলছে এবং নুসরাত খাটে শুয়ে আছে। আমাদের যাওয়ার আগেই মরদেহ নামিয়ে রাখা হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”নুসরাতের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন স্বজনরা।