
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি। পটুয়াখালী কলাপাড়ায় উপজেলার ধানখালী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহম্মেদ বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ধানখালী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপকর্ম ,দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য সহ জমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। তদন্ত সুত্রে জনাযায় আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট এর জমি অধিগ্রহণের (১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩২৩ টাকা এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
কলেজের গাছ বিক্রি ৩০ হাজার টাকা, কলেজের দোকান ভাড়া বাবদ ৪৬,৫৮৮ টাকা সহ কলেজ নামিয় জমির ক্ষতিপূরন ১৪ লক্ষ টাকাও আত্মসাৎ করছে বলে জানা গেছে। সরকারের অনুমতি ব্যতীত একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। কলেজের শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন।এছাড়াও ৪ নং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের, পূর্ব মধুখালী সালিয়া দাখিল মাদ্রাসা দুই মেয়াদে গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন। সেখানেও স্বজনপ্রীতি করে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলেও জানা গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ থাকা কালিন ছাত্র/ছাত্রীদের দিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের মিছিল মিটিং করাতেন, শিক্ষকসহ সকল কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করাতে বাধ্য করতেন তিনি। তিনি নিজে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেছেন।কলেজ সম্পর্কিত ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম (সহকারী শিক্ষা পরিদর্শন) পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা, সুলতান আহমেদ (অডিট অফিসার)পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং অভিযোগ সমূহ প্রমানিত হওয়ার প্রেক্ষিতে আইনঅনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তাকে চাকরিচুত্য করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবশেষ কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে গত ২১/০৫/২০২৫ তারিখ। ৩ দিনের সময় দিয়ে প্রেরিত উক্ত নোটিশ ইতোমধ্যে তিনি রিসিভ করেছেন। আগামী ২১/০৫/২০২৫ তারিখে তার বেতন ভাতা বন্ধ সহ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: মঈন উদ্দিন।এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বশির আহমেদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।