ঢাকা, শনিবার, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বকশীগঞ্জে দশানী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত ভিটা ও ফসলি জমি
নলছিটিতে ইয়াবা ও গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আ’লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন গ্রেফতার
নলছিটিতে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ, এলাকায় উত্তেজনা
বরগুনায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
কলাপাড়ায় শ্রমিকদলের নেতাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড
জীবননগরে পৌর ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্রিকেট’র ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
সচেতন শিশুরাই পারবে পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়তে: চসিক মেয়র ডা.শাহাদাত
ঝিনাইগাতীতে বন্যহাতীর আক্রমণে নিহত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা এ্যাডঃ এরশাদ আলম জর্জ
ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি, চাঁদা না দেওয়ায় দোকানে তালা,অতঃপর গভীর রাতে দোকানে চুরির নাটক
অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে ধানখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে মাউসির কারণ দর্শানোর নোটিশ
আত্রাইয়ে নাশকতা মামলায় ইউনিয়ন আ’লীগের ২ নেতা গ্রেফতার
লোভনীয় বিজ্ঞাপনে ঔষধসহ নকল পণ্য বিক্রি:বিপুল নকল পণ্যসহ প্রতারক গ্রেফতার
তানোরে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যৌবনে ফিরছে বিলকুমারী, জেলেদের মুখে খুশির ঝিলিক

বকশীগঞ্জে দশানী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত ভিটা ও ফসলি জমি

বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি:ভারি বৃষ্টির কারনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানী নদীর তিন কিলোমিটার জোরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে বসত ভিটা সহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বার বার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসব মানুষ নি:স্ব হয়ে পড়ছে। ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তবে উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও প্রবল বর্ষণে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের শব্দে ঘুম হারাম হয়ে গেছে এসব গ্রামের মানুষের। এক সপ্তাহের টানা ভাঙনে অনেক পরিবারই এখন নি:স্ব। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের। প্রকৃতির নির্মমতায় চোখের জলে ভাসছে ভাঙন কবলিতরা। নদী ভাঙনে ঘুঘরা কান্দি, চর আইরমারী, আইরমারী মন্দী পাড়া, উজান কলকিহারা, খাপড়া পাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের বসত ভিটা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। শুধু বসতভিটায় নয় ফসলি জমিও বিলীন হচ্ছে নদী গর্ভে।ইতোমধ্যে ঘুঘরা কান্দি বাজার, একটি মসজিদ ও একটি গ্রামীণ রাস্তা নদীতে ভেঙে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে মন্দী পাড়ায় অবস্থিত এলইজিইডির একটি ব্রিজ, মন্দী পাড়া বাজার ও শত শত বিঘা ফসলি জমি এবং বাড়ি ঘর। প্রতি বছর বন্যা এলেই প্রকৃতির আজাব শুরু হয় নদী ভাঙা মানুষের। নদী ভাঙনের ফলে বসত ভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে পরিবার গুলোর। নদী ভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ না থাকার কারণে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ দুর্দশায় পড়লেও এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয়দের দাবি মেরুরচর ইউনিয়নের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করায় নদী দশানী ও শাখা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দেয়। একারণেই আরও বেশি ভাঙছে আগ্রাসী দশানী নদী। এবারের ভাঙনে শুধু এক পাড়ে নয় দু পাড়েই ভাঙন শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২০ মানুষ। ভাঙনে ভিটা মাটি হারিয়ে বাড়ি ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এসব পরিবার বার বার নদী ভাঙনের শিকার হওয়ায় আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছেন। একারণে সামাজিক মর্যাদাও হারিয়েছেন তারা। স্থানীয়দের দাবি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে অস্তিত্ব হারাতে পারে পাঁচ গ্রাম। তাই অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ ও ডাম্পিং ফেলে এই গ্রাম গুলোকে ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি জানান এলাকাবাসী।

ভাঙন কবলিত ঘুঘরা কান্দি গ্রামের কৃষক শের আলী, মোতালেব হোসেন, মকবুল হোসেন জানান, দশানী নদীর ভাঙনে আমরা নি:স্ব হয়ে যাচ্ছি। বার বার ভাঙনের ফলে মানচিত্র বদলে যাচ্ছে এই এলাকার। আমরা ভিটা মাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে বিপদের মধ্যে রয়েছি। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মেরুরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান, ঘর বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শিগগিরই ডাম্পিং করা না হলে এই পাঁচ গ্রামের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। তাই আমরা জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা জানান, মেরুরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে তা আমরা অবগত হয়েছি। যেসব পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে এবং ভাঙন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ