
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একরাতে ২ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে এ উপজেলায় ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী উপজেলার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি হয়।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে দুই বাড়িতে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ ড্রাইভারের বাড়ি ও ৮নম্বর ওয়ার্ডের লাহারি বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আজাদ ড্রাইভারের নতুন বাড়ির বিল্ডিংয়ের লোহার দরজার লক ভেঙ্গে ৮-৯ জন মুখোশধারী ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে অস্ত্র ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, রাত ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের লাহরি বাড়ির নূর ইসলাম সিদ্দিকের বিল্ডিংয়ের দরজার লক ভেঙ্গে ডাকাত দল ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই ডাকাত দল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-মুখ বেঁধে ১০ আনা স্বর্ণসহ নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যদের পরনে প্যান্ট-লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি-শার্ট ছিল। তারা স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। তাদের বয়স ২৫-৩৫ এর মধ্যে ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জের দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্ছি মাসুদ (৩৫) ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এসব ডাকাতির সাথে জড়িত থাকতে পারে। পিচ্ছি মাসুদ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের তবারক আলী ভূঁইয়া বাড়ির মো. আবুল কাশেম ওরফে আবুল খায়েরের ছেলে। তিনি আত্মগোপনে থাকা বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, খুন, মাদক ও পুলিশের ওপর আক্রমণসহ প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। জনশ্রুতি রযেছে, এর আগে পিচ্ছি মাসুদ কারাগারে থেকেও অনেক ডাকাতির নির্দেশনা দিয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আনোয়ার হোসেন মাসুদ ওরফে পিচ্ছি মাসুদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আরো বলেন, পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। আরেক বাড়ি থেকে তেমন কিছু নিতে পারেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিআই/এসকে