
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৫টি প্রতিরক্ষা কলোনীর জমি অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২মে) দুপুরে ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদ ও নুরজাহানপর কলোনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পরিবারের সদস্যরা উপজেলা চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি ওসমানপুর বাজারের প্রধানপ্রধান
সড়ক প্রদক্ষিন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ◌্অনুষ্ঠিত হয়। । এতে
বক্তব্য রাখেন অবঃ সেনা সদস্য আজগর আলী, অবঃ র্সাজেন্ট আবুল হোসেন, অবঃ লেন্স. র্কপোরাল রুহুল আমিন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ত কালীন ভারত সম্রাট অধীনে ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ র্পূব পাকিস্থানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারর্বগকে র্পুনবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে ত কালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেসমূলে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৩৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরর্বতীতে ১৯৫৮ সালে র্পুনবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২৬৪ মহাজের পরিবারকে অস্থায়ী ভিত্তিতে টোকেন/স্লিপের মাধ্যমে ৫
একর করে জমি বরাদ্দ দেয়। পরে ১৯৬৫ সালে কিছু মহাজের পরিবার দেশত্যাগ, নিখোঁজ ও নিহত হন। ফলে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমিগুলো খালি পডে় থাকে। এ সুযোগে কিছু অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুরা জমি দখল করে জাল দলিল তৈরী করে নদী ভাঙ্গন কবলিত লোকদের নিকট বিক্রি করে আসছে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক পরিবারের লোকজন বৈধভাবে লিজ
নিয়েও অনেক সময় দখলে আসতে পারিনা। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওসমানপুরে সেনা ক্যাম্প স্থাপন
করলে ভূমিদস্যু ও অবৈধ দখলদাররা এলাকায় বসবাসরত লোকদেরকে নিয়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদ করে আসছে। আমরা স্থায়ীভাবে সেনা ক্যাম্প স্থাপন সহ আমাদের পরিবারের বরাদ্দকৃত লিজ জমি উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। শেষে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা রফিকুল ইসলামের নিকট প্রদান
করেন।