
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি আঞ্চলিক সড়ক। মির্জাপুর অফিস বাজার থেকে শানখলা বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা উন্নয়নের নামে কার্পেটিং তুলে পেলে রাখা হয়েছে কয়েক মাস ধরে এতে যানবাহন এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে, ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করলেও রাস্তাটির করুণ দশার যেনো দেখার কেউ নেই। ব্রিটিশ আমলে সড়কটি নির্মান করা হয় চা বাগানকে কেন্দ্র করে মালামাল আদান-প্রদানের জন্য মুরুব্বীদের কাছে টালি সড়ক নামে পরিচিত।
শেষমেশ ২০১৭ সালে হবিগঞ্জ এলজিইডি সড়কটি সংস্কার করা হলেও , সময়ের ব্যবধানে যত্নের অভাবে বর্তমানে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব গর্তে পানি জমে রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চলাফেরা করলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ বছর জুড়ে কিছু অসাধু মাটি ও বালুর ব্যবসায়ীরা ফসলি জমি বিভিন্ন ছড়াসহ সুতাং,থেকে অবৈধভাবে বালু মাটি কেটে ট্রাক ও ট্রাকটারে করে অন্যত্র বিক্রি করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। তাদের ভারী যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণেই সড়কের পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে পাকা রাস্তাটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয় ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ।
এই সড়কে চলাচল কারি সাধারণ যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন কন্টাকটার আমাদেরকে কষ্ট দিতাছে আজ কয়েক মাস ধরে কাজ করবো করবো বলে করতেছে না এই রাস্তাটি আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম। দ্রুত সংস্কার না হলে এসড়কে শতশত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়বে।
সিএনজি ড্রাইভার সবুজ ভাই বলেন বর্তমানে সড়ক দিয়ে সিএনজি চালাইলে নিজের জীবন শেষ তবুও জীবন-জীবিকার দায়িত্ব গাড়ি নিয়ে বেড় হইতে হয় । অন্য দিকে ভাঙ্গা ছোড়া গর্তে ভরা সড়কে যেমন ড্রাইভারের কষ্ট হয় ছোট যানবাহনের সিএনজির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটির এমন দুরবস্থার বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কার এবং অবৈধ মাটি বালু পরিবহন বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জনগণের জোর দাবি মির্জাপুর অফিস বাজার থেকে শানখলা বাজার পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ।