
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, নড়াগাতী থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি বি এম নওশের আলী, সাধারন সম্পাদক শেখ বুলবুল কবির, জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খান আবুল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খান সুমন রানাসহ অন্য নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৯ মে) বেলা ১১ টায় বড়দিয়া বাজারে বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নড়াগাতী থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও দি পাটনা একাডেমীর সহকারি প্রধান শিক্ষক শেখ বুলবুল কবির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত রোববার (১৮মে) গোপালগঞ্জ থেকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মটরসাইকেলের বহর নিয়ে মিছিলের জন্য কালিয়া প্রবেশ করতে পারে এই আশংকায় স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হন। গোপালগঞ্জ থেকে গাড়িবহর যোগানিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে এলাকাবাসীর সথে বহরের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। গাড়ি বহরের লোকজন নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে ওই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা চালান। কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিহিংসাবশত বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মিথ্যা বানোয়াট অপবাদ দিয়ে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন। সেলিম বলেছেন, জেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশে নড়াগাতি থানা বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বহরের লোকজনকে মারপিট করাসহ তাদের মোরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এ কথাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। উক্ত ঘটনায় নড়াগাতি থানা বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা কেউই ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন বা ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা। আহত মুন্সি আসাবুর রহমান আরাফাত প্রথমে কাউকে চেনে নাই মর্মে সাক্ষাতকার দেন। তিনি পরে কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি নেতা বিশ্বাস আসজাদুর রহমান মিঠু উপস্থিত থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে যে স্বাক্ষাতকার দেন তাহা আদৌ সত্য নহে। জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বিশ্বাস আসজাদুর রহমান মিঠুও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঢাকাতে অবস্থান করছেন। নড়াগাতি থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান খুলনাতে ছিলেন। আমি (শেখ বুলবুল) নিজে দি পাটনা একাডেমীতে সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক কাজে কর্মরত ছিলাম। বিএনপি নেতা হোসেন জুনু, সোহেল খান ও তরিকুল মোল্যার নামে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা শুনেছি বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাটের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। আমরা আব্দুল লতিফ সম্রাটকে কোনদিন দেখিনি এবং চিনিওনা। গাড়ি বহরে থাকা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রমাণ স্বরুপ ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমরা নড়াগাতি থানা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ সকল নেতাকর্মী দুঃখ প্রকাশ করছি ও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নড়াগাতী থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি বি এম নওশের আলী, জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খান আবুল হোসেন, পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কাবুল বিশ্বাস, কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শরীফ আব্দুল কাইয়ুম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খান সুমন রানাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট রোববার (১৮ মে) কালিয়া বেন্দারচরে অনুষ্ঠিত ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে আসার সময় যোগানিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় তিনি ও বহরে থাকা লোকজন হামলার শিকার হন। এ হামলার ঘটনায় বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা জড়িত বলে তিনি ও কালিয়া পৌর বিএনপির সেক্রেটারি সেলিম রেজা ইউসুফ দাবি করেন।