
সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা:-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এবং চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর ও নরসিংহপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিশাল ভাঙনে জনমনে আতঙ্ক বিরাজে দিশেহারা কয়েকশ পরিবার। বছরের পর বছর এই নদীভাঙনের ফলে ৬ গ্রামের হাজারো মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, সাখাইতি, সোলাবাড়ি ও লায়ারহাটি গ্রামের ঘরবাড়ি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাতালকলসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীভাঙনের কবলে থাকা কয়েকশ পরিবার আতঙ্কে দিন পার করছে।
এ ব্যাপারে পানিশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওসমান গণি, ডা.সাধন পাল জানান, ৬ গ্রামের হাজারো পরিবার নদীভাঙনের কবলে হুমকির মুখে। এই এলাকায় অর্ধশত চাতাল ও মিল রয়েছে। বিগত দিনে প্রায় ২০টি চাতাল ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর রহমান বলেন, মেঘনা নদীভাঙন রোধে সরাইল পানিশ্বর এলাকায় স্থায়ীভাবে মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের ২০২১ সালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু তা এখনও অনুমোদন হয়নি। চুন্টার আজবপুর এলাকায় অস্থায়ীভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে ৪৫৯০ বস্তা জিওব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, চুন্টা ও পানিশ্বর এলাকার নদীভাঙন সরেজমিন দেখে আসছি। চুন্টার আজবপুর এলাকায় অস্থায়ীভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে জিওব্যাগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে এবং পানিশ্বর এলাকায় নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।