
স্থানীয় সরকার উন্নয়ন সংস্থার আই আর আই ডিপি-০৩ এর প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমিন খানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে।
তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিউলী একজন গৃহিনী হওয়া সত্বেও অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। রুহুল এলজিইডির সরকারি প্রকল্প আই আর ডিপি-০৩ অর্থ আত্মসাত করে অবৈধ ভাবে স্ত্রীকে গাড়ী, ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ীর মালিকানা বানিয়েছেন।
রুহুল আমিন খান বরিশালে নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময় এলজিইডির প্রায় শত শত কোটি টাকা আত্মসাত করে তার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ গড়িয়েছেন। গত কয়েক মাস আগে বরিশাল বিভাগের ১৭টি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত কারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে রুহুল আমিন খান ও জড়িত থাকার পরেও তিনি তদবির করে তার নামটি অভিযেগা থেকে বাদ দিয়েছেন। রুহুল আমিন খান তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিউলীর নামে একটি বিলাশবহুল গাড়ী ক্রয় করেছেন সাল সাবির কার নাভানা টাওয়ার, লেভেল ৯/সি, ৪৫ গুলশান এভিনিউ, ঢাকা থেকে যার গাড়ীর চেসিস নং-NZT260-3184956, Eng No. INZF 108280, গাড়ীটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ-৩২-০৬১৯ গাড়ীটির ক্রয় মূল্য দেখিয়েছেন ৩১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩৮ টাকা। গাড়ীটির মূলত আরো অনেক টাকা কর ফাকি দিয়েছেন। এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে বাসা নং-৯/৭, ফ্ল্যাট নং-৫/এ, বুলবুলিকা, লালমাটিয়া, ব্লক-ডি, ঢাকা। উক্ত বাসার ৫ম তলায় ফ্লোর ৬০০০ বর্গফুট ক্রয় করেছেন ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে। সেখানে তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে বসবাস করিতেছেন।
এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে ঢাকা শহরে গুলশান, বনানী, উত্তরায় আরো কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বরিশালে তার স্ত্রীর নামে একটি ৬ষ্ঠ তলা বাড়ি রয়েছে। তার নিজ জেলা ও নিজ থানা তার স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। রুহুল আমিন খান যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকারের দোষর হওয়ায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে ৩০০ এমপির প্রকল্প তার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতো সেই সুবাদে তিনি এমপি মন্ত্রীদের বিভিন্ন তদবির বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে একটি বিষেশ নির্ভর সূত্রে জানা যায়। রুহুল আমিন খান ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিউলীর সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করলে আরো গোপন রহস্য উম্মোচিত হবে।