
চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ৪ দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি না মানা হলে বেলা ১টার দিকে জাহাঙ্গীর গেটের উদ্দেশ্যে লং মার্চ করার ঘোষণা দিয়েছে।
রবিবার(১৮ মে) সকাল থেকেই বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্লাটফর্ম – বিসিপি এর আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেছেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
তারা মূলত তিন দাবি নিয়ে অবস্থান করলেও তাদের দাবির সঙ্গে নতুন করে গতকাল গ্রেপ্তার তাদের মুখ্য সমন্বয় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তির দাবিও নতুন করে যুক্ত হয়েছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা’র অভিযোগে আট বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচিতে অবস্থান করা চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. রিপন হোসেন বলেন, তিন বাহিনী মিলিয়ে ৬০০ জনের মতো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পেনশনে পাঠানো হয়েছে অনেককে। কোর্ট মার্শাল করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুতি আমরা মানি না।
সাবেক নৌবাহিনীর নাবিক এম বাহাউদ্দিন বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে আলাপ করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যদি কেউ না আসে ৪৫ মিনিটের মধ্যে তাহলে আমরা জাহাঙ্গীরগেটের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করব। এছাড়া আমাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলামকে মুক্ত করতে হবে।
বাকি তিন দাবি:
১। চাকুরীচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরি পূর্ন বহাল করতে হবে।
২। যদি কোন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পূর্ন বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে উক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ন পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
৩। যে আইন কাঠামো ও এক তরফা বিচার ব্যাবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যাবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্করণ করতে হবে।
ডিআই/এসকে