
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলাটি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, “তদন্ত একটি জটিল প্রক্রিয়া হলেও আমরা আশা করছি সাত দিনের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এরপর চার্জশিট দিয়ে মামলাটি বিশেষ ট্রাইবুনালে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব।”
তিনি আরও জানান, সাম্যের হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে আহত অবস্থায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শমরিতা ও বিআরবি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতের অনুমতিতে বর্তমানে রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম জানান, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে চলেছে এবং সাত দিনের মধ্যে ডিএমপি থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে সরবরাহ করে এবং সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১৫ মে-কে বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস ঘোষণা করে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, “টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন ও একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রমনা পার্কের আদলে গড়ে তুলতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া আগামীকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উপাচার্য বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু কিছু অংশীজন ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলে আপত্তি করায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন বিষয়টি আবার গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে।”
ক্যাম্পাস পুলিশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনাও আলোচনায় রয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
ডিআই/এসকে