
দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র মেয়েকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে লতা হারবালের মালিক আইয়ুব আলী ফাহিমের (৫৫) বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর মাকে ২০১০ সালে বিয়ে করেন ফাহিম। সেই সময়ে ভুক্তভোগী তার মায়ের সঙ্গে ফাহিমের কাছে থাকত। এরপর ফাহিমের নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগীর মা বিদেশে চলে যায়। কিন্তু ভুক্তভোগী ফাহিমের কাছে থাকত। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয় সেই ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগীর দাবি তার ওপর ফাহিমের কুদৃষ্টি থাকা এই সংসারেও বিচ্ছেদ ঘটান। এরপর দ্বিতীয় বার বিয়ের চেষ্টা করলেও সেটি আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বিয়ের পরেও ভুক্তভোগী সৎ বাবা ফাহিমের বাসায় থাকত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৩০ তারিখ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও ভুক্তভোগীর শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৪ মাস বাসায় আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে একই কায়াদায় ধর্ষণ করতেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী মামলায় আরও অভিযোগ করেন, অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণা করে রাখতো। ভয়ভীতি দেখায় যদি এই ঘটনা কেউকে বলি তাহলে অনলাইনে ছেড়ে দিবে। এরই মধ্যে তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৫ তারিখ ফাহিমের বাসা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তার মায়ের কাছে চলে যান। পরবর্তীতে আমেরিকার নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে দেশে রেখে যাওয়া তার শিশুপুত্রকে উদ্ধার করতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর আজ দুপুরে মায়ের সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
ডিআই/এসকে