
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ২৯ নং পূর্ব ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোসা. হেনা আক্তার শুধু অসদাচরণই করেননি, বরং এক পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙারও চেষ্টা করেন এঘটনায় শনিবার (১৭ মে) রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা মোসা. হেনা আক্তার এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন সহকারী শিক্ষিকা হেনা আক্তার। কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে না—এ বিষয়ে আগামী ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে, যখন স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী বিদ্যালয়টিতে অনিয়ম ও বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যান। এ সময় সহকারী শিক্ষিকা হেনা আক্তার সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই অপেশাদার আচরণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন ন্যূনতম পেশাদারিত্ব বজায় থাকে, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।”
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক মহল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। তাদের মতে, শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের অসৌজন্যমূলক ও আগ্রাসী আচরণ একদিকে যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, অন্যদিকে সেটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ণ করে।