
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামে মসজিদ কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৬মে) বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বাবুপুর বাজার এলাকায় মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সংঘর্ষে ইমাম সাহেবের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় বাজারে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো এলাকা রূপ নেয় রণক্ষেত্রে। খবর পেয়ে কালিয়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর নাহিদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী এবং কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যৌথ অভিযান চালায়। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে অভিযান শুরু করে। অভিযানে একটি শর্টগানসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে সংঘর্ষ থেকে জব্দ হওয়া প্রথম আগ্নেয়াস্ত্র বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া অন্যান্য অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে টেটা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, রামদা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি শর্টগান, ১৫টি তাজা কার্তুজ, ৩টি টেটা, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি হকিস্টিক, ২টি রামদা, অস্ত্রের ব্যারেল, বাট, ক্লিনিং কিট ও অস্ত্রবক্স প্রভৃতি। অভিযানে সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নান্নু রহমান (৫৫), সাইমন সরদার (৩২), এস এম আরিফুজ্জামান (৩০), মজিবর রহমান (৭০) এবং সেজন সরদার দ্বীপ । এরা সকলেই কুলসুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেনা ও পুলিশের সুসমন্বিত তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এলাকাজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মসজিদ কমিটি গঠনের নামে কেউ অস্থিরতা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় সফল অভিযান পরিচালনার জন্য যৌথ বাহিনী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।