ঢাকা, শনিবার, ১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বিজয়নগর সীমান্তে ‘পুশ ইনের’ চেষ্টা বিএসএফের বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন টহল জোরদার
১২০ টাকায় পটুয়াখালীতে পুলিশ বাহিনীর সদস্য হলেন ২১ জন চাকুরী প্রার্থী
জীবননগর ফেনসিডিল ও মাদক কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার ৩
কালিয়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, সেনা-পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৫
নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার ছাত্রী অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র আটক
নওগাঁয় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
বনানীর সিগনেচার লাউঞ্জে অভিযানে ৪ জন গ্রেফতার ,বিদেশি মদসহ যা যা উদ্ধার হল
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেই শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চট্টগ্রামের রেডিসনে চলছে জমজমাট ঈদুল আজহা ফেস্ট
দূর্নীতির আঁকড়া নড়াইল জেলা পরিষদ: আট মাসে দূর্নীতি মুক্ত করলেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান
বিরামপুরে এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
কাঁঠালিয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ ২৩টি চুল্লি গুড়িয়ে দিলেন ভ্রম্যমান আদালত
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের বাবা আমিনুল হক মারা গেছেন
মোংলায় এক নারীকে দফায় দফায় ধর্ষণ, ধর্ষক যুবক আটক
তানোরে বিল কুমারী বিলে ৪শ’ টি গাভী গরুর বিশাল পাল : মাঠ থেকেই বিক্রি করা হয় দুধ

তানোরে বিল কুমারী বিলে ৪শ’ টি গাভী গরুর বিশাল পাল : মাঠ থেকেই বিক্রি করা হয় দুধ

সাইদ সাজু, তানোর থেকে ঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল কুমারী বিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি এলাকার রফিকুল ইসলাম (৬২)। তিনি ৫০টি গাভী গরু নিয়ে অন্য ৮ জনের সাথে এসেছেন এসেছেন তানোর বিল কুমারী বিলে। ৪শ’ র বেশী গাভী গরু ও বাছুরের পাল নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় (এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায)। যেকানে জমি ফাঁকা থাকে এবং খাবার পাওয়া যায় সেখানেই তারা ছুটে বেড়ান এই গরুর পাল নিয়ে। মাঠেই তাদের বসবাস মাঠ থেকেই বিক্রি করেন গরুর দুধ। গরুর দুধ বিক্রি করেই চলে তার সংসার।

প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটা-তাজা করে ভাদ্র মাসে অন্তত ১৫টি গরু বিক্রি করা তার লক্ষ্য। রফিকুর ইসলাম বলেন, সাধারণত ভাদ্র মাসে গরুগুলোর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই আদি পেশা এখনো ধরে রেখেছেন অনেকেই। লাভজনক হওয়ায় নতুন করেও অনেকে যুক্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৮ জন মিলে গরুর পাল নিয়ে বের হই। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাই। যেখানে গরুর খাবার পাওয়া যায়, সেখানেই যাই। কখনো কখনো রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর উপজেলাতেও আসি আমরা।

এক জায়গায় ১৫ থেকে ২০ দিন অবস্থান করি। তারপর পালা করে একেক জন বাড়ি আসি। একসাথে কয়েক জনের গরু এভাবে পালন করা হয়। প্রতি মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকার দুধ বিক্রি হয়। এ ছাড়া, প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০টি গরু বিক্রি করে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা আয় হয়।’
‘আমরা দেশি জাতের গরু পালন করি। এগুলো অত্যন্ত সহনশীল, সব পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। অসুখ হয় কম। যখন যেখানে থাকি সেখানে গোয়ালা ঠিক করা হয়, তারা এসে দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়’।

একই লাল মোহাম্মদ বলেন, গত প্রায় ১০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। বর্তমানে তার ৪০টি গরু রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে দুধ বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং গরু বিক্রি করে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয় হয়। তিনি বলেন, গরু নিয়ে আমরা সব উপজেলায় যাই। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলাতেও যাই। অনেকে বেতন দিয়ে রাখাল রেখে দেয়। সাধারণত এক জায়গায় আমরা ১৫ থেকে ২০দিন থাকি। রাতে কোনো একটা গাছের নিচে পলিথিন দিয়ে তাঁবু টানিয়ে পালা করে ঘুমাই। গরুগুলো এক জায়গায় থাকে। দুধ বিক্রির টাকায় আমাদের দৈনন্দিন খরচ চলে। বাড়ির চাহিদাও পূরণ হয়। আর গরু বিক্রির টাকা জমানো চেষ্টা করি। সাংসারিক কাজেও ব্যয় হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকার জন্য কখনো ভাবতে হয় না। চিকিৎসার খরচ, বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে টাকার প্রয়োজন হলে একটা গরু বিক্রি করে দিই। ভাদ্র মাসে গরুর দাম বেশি থাকে। অনেক সময় পালে গরুর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বিক্রি করে দেওয়া হয়। বর্ষায় টানা বৃষ্টি বা বন্যা হলে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যায়, গরুর খাবার পাওয়া যায় না। তখন কিনে খাওয়াতে হয়। গরু লালন পালনই তাদের জিবীকার একমাত্র পেশা।

শেয়ার করুনঃ