
মো. সফর মিয়া,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে “জাহেরা আহামেদ ফাউন্ডেশন” নামের একটি প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণমূলক কাজের কথা বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে মাটি উত্তোলনের অনুমোদন নিয়েছে। তবে বাস্তবে সরকারি ড্রেজার ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মাটি তুলে উর্বর ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল বাণিজ্যিক ডেক। এ কাজে সহায়তা করছে ‘চায়না বাংলা’ ও ‘গ্রেট ওয়াল শিপ বিল্ডার্স’-এর মতো প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান।
সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী, ফাউন্ডেশনটি অটিজম পুনর্বাসন কেন্দ্র, মাদ্রাসা, স্কুল ও হাসপাতালের মতো প্রকল্পের জন্য মাটি উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর বিলে সরকারি ড্রেজার দিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে ফসলি জমি ভরাট করে বানানো হয়েছে বাণিজ্যিক ডেক।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, ফসলি জমি নষ্ট করে সেখানে বাণিজ্যিক সুবিধা তৈরির চেষ্টা চলছে। মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের তোয়াক্কা না করে চলছে অবাধে জমি ভরাট। তাদের দাবি, কোটি টাকার সরকারি মাটি চলে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহলের পকেটে।
এই ঘটনার অনুসন্ধানে গিয়ে ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে কথিত মাটি-মাফিয়ারা ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এইভাবে চলতে থাকলে নবীনগরের উর্বর কৃষিজমি দ্রুত হারিয়ে যাবে। এতে খাদ্য উৎপাদনে বড় ধরণের প্রভাব পড়বে।জাহেরা আহামেদ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনের দাবী,সরকারি সব নিয়ম কানুন মেনে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফরিদ আহামেদ বলেন,বিআইডব্লিউটিএ থেকে সার্ভে এবং টেন্ডারের মাধ্যমে বৈধভাবেই কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, এই উপজেলায় মাটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তারা যে ডাইক করেছে, তার কোনো অথরিটি নেই।