
রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মূল রাস্তায় চলাচলরত ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয় এবং এরমধ্যে কয়েকটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
গণমাধ্যমের খবরের বরাতে তিন রিকশাচালকের দুরাবস্থা ও আর্তনাদের খবর ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের চোখে পড়লে তিনি তৎক্ষণাৎ তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় ডিএনসিসি প্রশাসক তার কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন চালককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় প্রশাসক এজাজ বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এর পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে নেন। ঢাকা শহরের মূল রাস্তায় কোনো রিকশা চলতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালকরা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার মো. খলিল, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার রাসেল মিয়া ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার সুমন মৃধা।
এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক এই তিনজন রিকশাচালককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাটারিচালিত এসব অবৈধ রিকশা অপসারণের বিকল্প নেই। সরকার এরই মধ্যে যাত্রী নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রস্তুত করতে কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি প্রদান করেছে। এসব রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক প্রায় একলাখ চালকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ মাসের মধ্যেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজাসহ ডিএনসিসি কর্মকর্তারা।
ডিআই/এসকে