ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কেন্দ্রীয় জাসদ নেতার মা রাবেয়া খাতুনের মৃত্যু
ঝিকরগাছায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজস্থলীতে বজ্রপাতের আঘাতে আহত- ১
কুড়িগ্রামে অনুমোদনহীন আইসক্রিম ফ্যাক্টরি পণ্য গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন
পৌরসভায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মপরিধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
স্মারকলিপি দিলেন চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ
মিরসরাইয়ে স্কুল পড়ুয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি কিশোরীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা:-যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ
সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ গ্রেফতার
ফরিদপুরে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিহাদ গ্রেফতার
কোতয়ালী এলাকায় বিশেষ অভিযান; মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার ১৫
মতিঝিলে ছিনতাইকালে গ্রেফতার ২
ফরিদপুরে দেড় লাখ টাকায় ‘বিক্রি হওয়া’ সেই শিশুকে উদ্ধার করল র‍্যাব
ভারত নিজেদের রোহিঙ্গাদের পুশইন করছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল:বিজিবি ডিজি
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আরও চার নেতা গ্রেফতার

বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থায় দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট কমিটির নেতৃত্বে চলমান দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতান্ত্রিক অনিয়মের বিরুদ্ধে আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামনে বধির জনগোষ্ঠীর আয়োজনে এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে অংশ নেন প্রায় ২০০-এর বেশি বধির ও তাদের সমর্থক সদস্য। “দুর্নীতিবাজদের বিচার চাই”, “মিথ্যা তদন্ত নয়, স্বচ্ছ তদন্ত চাই”, “বধিরদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করো”—এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল গোটা এলাকা।

মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সাবেক সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহিদ হাসান দিপু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আশীর্বাদে বহুদিন ধরে সংস্থাকে জিম্মি করে রেখেছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছিলেন।

তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়:

অডিটবিহীন অর্থ ব্যয় ও হিসাব গোপন

স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সদস্যপদ প্রদান

একক সিদ্ধান্তে অর্থ উত্তোলন

ভুয়া তদন্ত কমিটি গঠন করে বাজেট অপচয়

সংস্থার গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে আজীবন সদস্যপদ প্রদান

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকলেও তারা সংস্থার দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করেননি বরং জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসীন ছিলেন। পরবর্তীতে গণদাবির মুখে, তৃণমূল বধির সদস্য ও স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সহায়তায় তারা অপসারিত হন।

বর্তমানে, উক্ত সাবেক নেতৃবৃন্দ পুনরায় সংস্থায় প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং জনপ্রিয় তত্ত্বাবধায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ভীতি প্রদর্শন ও হুমকির মাধ্যমে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

বক্তারা বাংলাদেশ সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে জোরালোভাবে দাবি জানান—বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট কমিটির দুর্নীতির নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে, অভিযুক্তদের সদস্যপদ বাতিল করতে হবে এবং বধির জনগণের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এক বধির সদস্য ইশারাভাষায় বলেন, “আমরা আর কারো অধীনে নয়—আমরা চাই নিজেদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী নেতৃত্ব। দুর্নীতির বিচার ছাড়া সামনে এগোনো সম্ভব নয়।”

শেয়ার করুনঃ