
আমতলী (বরগুনা)প্রতিনিধিঃবরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর জিসি টু নমরহাট জিসির কাঠালিয়া গ্রামের বাজে সিন্দুক ব্রিজ অবশেষে ভেঙ্গে পড়ল। যদিও জনগণের সহযোগিতায় বাধের ব্যবস্থা হইতেছে আয়রন ব্রীজ ভেঙ্গে পরায় যানবাহনে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হলদিয়া ইউনিয়নের
কাঠালিয়িা গ্রামের শতশত মানুষের। জানাগেছে,আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে ২১ টি আয়রণ ব্রীজ নির্মাণে দরপত্র আহবান করে। প্রত্যেক আয়রণ ব্রীজ ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ হয়। অভিযোগ রয়েছে ব্রীজ নির্মাণকালে ঠিকাদার দায়সারা কাজ করেছেন।জানা গেছে ,গত বছর ২২ জুন বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ে হলদিয়া হাট আয়রণ ব্রীজ ভেঙ্গে ৯ জন নিহত হয়। এ ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মলি-কবাড়ীর টেপুড়া খালের ব্রীজ ভেঙ্গে পরে। এরপর বাঁশবুনিয়া, সোনাউডা, হলদিয়া বড় মোল্লা বাড়ী, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া নজরুল সিকদার বাড়ী, কাঁঠালিয়া বাজে সিন্ধুক, কাঁঠালিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন, চন্দ্রা আউয়াল নগর ও গত মাসে এক গভীর রাতে রাতে চর রাওঘা ব্রীজ ভেঙ্গে পরেছে। রাওঘা গ্রামের আমির হোসেন বলেন, ব্রীজটি নড়বড়ে ছিল।
স্থানীয়রা ওই ব্রীজটি খেঁজুর গাছ দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে। পরে ব্রীজটির মাঝের অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। সর্বশেষ শনিবার ১০ মে শনিবার বাজে সিন্ধুক খালের ব্রীজটি মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, এটা নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়নে ১১ টি ব্রীজ ভেঙ্গে পরেছে। এতে হলদিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে বেশ ভোগান্তিতে পরেছে ।আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, আয়রন ব্রীজগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভেঙ্গে পরেছে।