
সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের শেষ বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ডাউনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোর রাতে লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারের পর এক ঘন্টা সময় হতে না হতে একই এলাকার পুনিয়াউট রেলগেইট প্রথম মালবাহী ট্রেন লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাত ঘন্টা অর্থাৎ আরেকটি একি সিগনাল এলাকায় আবারো যাত্রীবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের শেষ বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ডাউনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে উভয় পাশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার ভোর ৫টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আসা উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন মালবাহী বগিটি উদ্ধার করে লাইন সচল করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন জানান, রাত সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই বগির একটি কনটেইনার উল্টে চট্টগ্রামগামী লাইনে গিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় উভয় পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসার পর ভোরে বগিটি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর এক ঘণ্টা পর একই এলাকায় সকাল বেলায় পুনিয়াউট রেলগেইট কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এর ফলে ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে উদ্ধারকারী ট্রেন আগে থেকে ঘটনাস্থলে থাকায় বগিটি দ্রুততম সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ছাড়া এখন তা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে পরবর্তীতে তা বলা যাবে।”