মিরপুরের ১২ নম্বর সেক্টরের ই ব্লক, রোড ৪, বাসা ২১ এর নিকটে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্প্রতি একাধিক পরিত্যক্ত গুলি উদ্ধার করেছে গত ৫ই মে,যা সাংঘাতিক হুমকির পরিচায়ক। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে পল্লবী থানা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল সাত্তার মোল্লা এবং এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সহযোগী আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সজল ও মোশারত হাসান বেনু।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাত্তার মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে তিনি নিজ হাতে এক যুবককে গুলি করে আহত করেছেন, এবং তার বাহিনী স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে স্থানীয়দের ভীতির মধ্যে রেখেছে।
এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সাত্তার মোল্লা প্রায়ই ৮০ জনের একটি সন্ত্রাসী দলের সদস্যদের দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। মিরপুর ১২তে সাত্তার মোল্লা নিজ নামেই রয়েছে বস্তি। বস্তিতে রাষ্ট্রের সম্পদ গ্যাস বিদ্যুৎ পানির অবৈধ সংযোগ, সন্ত্রাসীদের আস্তানা এখন সাত্তার মোল্লা বস্তি। যার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ও অরাজকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, সাত্তার মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনী বিষাক্ত বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়ছে, এবং নিরাপত্তা বাহিনী যদি অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এলাকা বাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সাত্তার মোল্লা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা না হলে মিরপুরে হত্যালীলা চলতে থাকবে।
এলাকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত এবং কার্যকর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন। প্রশাসন যদি এই পরিস্থিতির প্রতি নজর না দেয়, তবে মিরপুরের মাটি রক্তের পণ্যে রঞ্জিত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন তারা।
পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, গুলি পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিআই/এসকে