ঢাকা, শুক্রবার, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ঝিকরগাছায় দাদার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধামাচাপার চেষ্টায় প্রভাবশালীরা
খুলনায় দেশ সংযোগ পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
পার্বতীপুরের হরিরামপুর ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী
হোটেল আমারিতে পুলিশ-ডিএনসির যৌথ অভিযান চলছে
পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার : দুই যুবকের কারাদণ্ড
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
নোবিপ্রবি’তে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা
জীবননগরে আবারো মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১
জুয়া ও মাদক প্রতিরোধে ওসির সাথে নান্দাইল নাগরিক ফোরামের মতবিনিময়
জীবননগর মুক্তমঞ্চে দিনব্যাপী ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য সংগ্রহ
চট্টগ্রাম বে- টার্মিনালে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে:বিডা’র চেয়ারম্যান
বর্ণিল আয়োজেন আত্রাইয়ের পতিসরে পালিত হচ্ছে বিশ্বকবির ১৬৪ তম জন্মোৎসব
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, তিন পুলিশ প্রত্যাহার-বরখাস্ত
মোহাম্মদপুরে গুলি ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ঝিকরগাছায় দাদার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধামাচাপার চেষ্টায় প্রভাবশালীরা

জহিরুল ইসলাম ঝিকরগাছা যশোর প্রতিনিধি:

যশোরের ঝিকরগাছায় প্রতিবেশী দাদার ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা ১৩ বছর বয়সী কিশোরী। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর প্রতিবেশী ধর্ষক দাদা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের রায়পটল গ্রামের মৃত. নুর আলীর ছেলে ফজলুর রহমান ফজু (৬৫) দিকে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের রায়পটল গ্রামের দিনমজুর আমির হোসেন স্ট্রোক জনিত কারণে প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, পরিবারের সদস্যরা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। এরই ধরাবাহিকতায় বাড়ির পর্শ্ববর্তী ফজলুর রহমান ফজুর বাড়ীতে কাজ করতেন প্রতিবন্ধী আমির হোসেনের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী। কিশোরীকে বিভিন্ন সময়ে ফজু লালসার শিকার বানিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে কিশোরী ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা, মেডিকেল রিপোর্টে বুঝতে পারে অসহায় পরিবার। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজান হাজীর মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা হয়।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, আপনারা যে তথ্য পেয়ে এসেছেন ঘটনাটি সত্য। তবে এ ঘটনার বিষয়ে আপনাদের স্থানীয় মাতব্বরা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দিবে না। বিয়ে দিবে, বাচ্চা নষ্ট করে, ৫বিঘা জমি দিবে, আরাব কখনও ৩০লক্ষ টাকার মাধ্যমে ঘটনার ধামাচাপার চেষ্টা চলছে। তবে উক্ত বিষয়ে কিশোরী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তার মেয়ে বাহিরের কারও সামনে আনছে না।

ঘটনার বিষয়ে কিশোরীর বাড়িতে গেলে কিশোরীর মা তার মেয়ে বাড়ির পাশে আছেন। মেয়েকে ডাকতে গেলে পার্শ্ববর্তী মেয়ের চাচাতো ভাই নয়নের স্ত্রী রুমি ভাবী তাকে সংবাদকর্মীদের সামনে আসতে দেন না। পরবর্তীতে রুমি সংবাদকর্মীদের সামনে এসে বলেন মেয়ের অভিভাবক সহ সবাই বাঁকড়া বাজারের মিজান হাজীর ওখানে যান। ওখানে গেলে সব তথ্য পাওয়া যাবে।

প্রতিবেশী ধর্ষক দাদা ফজলুর রহমান ফজু এর সাথে যোগাযোগ করতে তার বাসায় গেলে তিনি ঘর থেকে বের না হয়ে। তার স্ত্রীকে দিয়ে সংবাদকর্মীদের কে জানান, ঐ ছেমরির বহু লোকের সাথে সম্পর্ক। কিন্তু ইনি পাড়াপ্রতিবেশী হিসেবে দাদা হয়। আমরা সহ্য করতে পারছি না। সব গ্রামের সড়যন্ত্র। ওরা বেশ কিছু দিন আগে সড়যন্ত্র করে আমার কবুতর মেরে ফেলেছিল। এটা নিয়ে আমি ক্যাম্পে বিচার দিয়ে ছিলাম। তারপর থেকে ওদের আমাদের উপর রাগ। যা হোক অন্যায় আমাদেরই। ওরা বলতে চাচ্ছে আমাদের মেয়ের পেটে বাচ্চা তোমাদের নিতি হবে। বাচ্চা ফেলানো যাবে না। মেয়ে মুখ দিয়ে বলেছে। এখন এলাকার লোকজন এই বিষয়ে বসতে চেয়েছে।

স্থানীয় মাতব্বর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আইনের আশ্রয়ে না গিয়ে, আপনারা ধর্ষকের কি করতে চান ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সামাজিক ভাবে ধর্ষকের শাস্তি ব্যবস্থা করবো।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার অনিতা মল্লিক বলেন, আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। দেখি তদন্ত করে দেখছি বিষয়টি।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমাদের নিকট কোন অভিযোগ আসেনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ওসি সাহেব কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

শেয়ার করুনঃ