
আজ ৫ ডিসেম্বর এই দেশ বাংলাদেশ নামকরণ পায়। ১৯৬৯ সালে এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশ নাম পায়।
আর তাই মঙ্গলবার ( ৫ই ডিসেম্বর ) ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুল ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি, “বাংলাদেশ” নিয়ে সেমিনার আয়োজন করা হয়। আজকের এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে মোহাম্মদ আব্দুল হালিম অতিরিক্ত ডিআইজি ট্রেনিং ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুল ঢাকার ট্রেনিং শাখার সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা করেন। উক্ত সভায় সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল হালিম অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং)ট্রাফিক এন্ড ড্রাইভিং স্কুল ঢাকা ।আরো উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুস সাত্তার খান ইন্সপেক্টর (ট্রেনিং)সহ ট্রেনিং শাখার সকল অফিসার ও সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভার চুম্বক অংশ-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগেই দেশটির নাম ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছিলেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার উদ্ধৃতি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনে লেখা ডায়েরি নিয়ে রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের একটি অংশে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন পরিচয় (১৯৫৫-৭৫)’ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর বছর ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের নামকরণের কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই আলোচনা সভায় বলেন, ‘এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।…একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোনও কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।…জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’ হবে।’
ডিআই/এসকে