কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক মুর্দা অর্জনের স্বপ্ন সকলকেই আকৃষ্ট করে। তবে, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। অনেকে আবার চাকরির ভিসার পরিবর্তে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে বিপাকে পরে জেল খেটে ফেরত আসে। এমনই একটি ঘটনার স্বীকার হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের পুত্র মকছুদুর হাওলাদার। দেশে এসে প্রদেয় টাকা ও ন্যায্য বিচারের দাবীতে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভূক্তভোগী মকছুদুর হাওলাদার। মামলা নং ৪৩৭/২০২৫।মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী রাজু আহম্মেদ ও হারুন'র সাথে ভূক্তভোগী মাকছুদুর হাওলাদারের পূর্ব পরিচিত হিসেবে সুসম্পর্ক ছিলো। আসামী রাজু আহম্মেদ মাদারীপুর জেলার ঝিকরহাটি গ্রামের তোবারক হাওলাদারের ছেলে আর হারুন ঢাকার হাজারীবাগের বাসিন্দা খলিল মিয়া’র ছেলে। তারা উভয়ে ঢাকার চৌধুরি পাড়ায় আবুল হোটেলের সামনে অবস্থিত গোলাম রাব্বি ট্রাভেল এসেন্সি’র মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতো। মকছুদুর হাওলাদারকে সৌদি আরবে ভালো চাকরির ভিসা দিয়ে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে তাকে ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে পাঠানো হয়। এতে সেখানে গিয়ে তিনি বিপাকে পরেন। কয়েকমাস লুকিয়ে থেকে সেখানে জেল হাজত খেটে দেশে ফিরে আসেন। তার সাথে এরকম প্রতারণার কারন ও প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে উল্টো হুমকী ও ভয়ভীতি দেখায় প্রতারক রাজু ও হারুন। সুষ্ঠু বিচার ও পাওনা টাকা ফেরতের দাবীতে আদালতে মামলা করেন ভূক্তভোগী মকছুদুর হাওলাদার।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, মামলার কপি হাতে পেলে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়া হবে।