
দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ ব্যতিক্রমধর্মী সভাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মোঃ মোকছেদ আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম। তিনি বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায় আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা ইসলামি শিক্ষা অনুযায়ী সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন ন্যায়, ইনসাফ এবং সদ্ব্বব্যবহার করতে। আমরা একসঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে চাই।তিনি আরও বলেন,জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিক তাদের মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার ভিত্তিতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বাসী। আমরা চাই, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সকল ধর্মাবলম্বী শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে।”
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ধর্মযাজক ডাঃ আমুশ মুরমু। তিনি বলেন, “এ ধরনের সভা আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তুলতে সহায়ক। আমরা জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি দলকে সমর্থন করি, কারণ তারা দুর্নীতিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধরঞ্জী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান সরকার সাজু, ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ইউনিয়ন উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোঃ মাহাবুব আলম, ইউনিয়ন পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব,ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান,ইউনিয়ন পেশাজীবী বিভাগের সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল মুমিন,৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফাজিল উদ্দীন ও আবু সাঈদ মাস্টার প্রমুখ।বক্তারা ধর্মীয় সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভা শেষে দুই সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।