
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা ছিনতাই ও যাত্রী-চালকের ওপর হামলার ঘটনায় রায়পুর থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে এবং লুট হওয়া অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। গ্রেফারকৃতরা হল পৌর শহরের দেনায়েতপুর গ্রামের মো: লিটনের পুত্র ইমান হোসেন শুভ (২২), রাখালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র রায়হান (১৯) ও সোনাপুর এলাকার শাহদুল্লা মিস্ত্রি বাড়ীর শাহ পরান কুট্টির ছেলে রিফাত হোসেন (২১)। রবিবার ৪মে রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শনিবার ০৩ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়পুর উপজেলার ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া এলাকার মহাসড়কে অটোরিকশা চালক মোঃ বকুল ও যাত্রী তাজল ইসলাম-এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে জানা যায়, দুলাল চৌধুরী বাড়ির ব্রিজের পাশে ‘হোসেন মিঝির কার ওয়াশ’ এর সামনে পৌঁছালে স্থানীয় একদল যুবক চালক ও যাত্রীর গতিরোধ করে। এসময় ইমান হোসেন শুভের নেতৃত্বে চালকের অটোরিকশা থামিয়ে তাকে মারধর করা হয়, যাত্রী তাজল ইসলামের গলায় ছুরি ধরে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং শেষপর্যন্ত চালকের ১,৩৮,০০০ টাকা মূল্যের অটোরিকশা ও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের ১২,৫০০ টাকার স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই রায়পুর থানার এসআই মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। রবিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এসআই মহিউদ্দিনের দ্রুত পদক্ষেপ, পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানে রায়পুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঞা জানান, “রায়পুরে অপরাধ দমনে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। কোনো ধরনের অপরাধকে ছাড় দেয়া হবে না। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক বকুল বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমার গাড়ি আর ফিরে পাবো না। কিন্তু পুলিশ আমার বিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ।”
রায়পুর থানার এই সফল অভিযান অপরাধ দমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে থাকবে। পুলিশের এ ধরনের তৎপরতা সমাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও সহায়ক হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।