রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি : সারা বাংলাদেশের ন্যায় ১১ তম গ্রেড ন্যায্য দাবি হিসেবে কর্ম বিরতি পালন করেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার ৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।সকাল নয়টা টা থেকে দশটা পর্যন্ত এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা।দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তাদের এই কর্মসূচি।রাঙ্গাবালী উপজেলার শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিমন আনসারী বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির দেওয়া কর্মসূচি যথাযথ প্রক্রিয়া পালন করা হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। সরকার যতদিন সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ ১১ তম গ্রেড বাস্তবায়নের ঘোষণা আসা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।শিক্ষার যথাযথ মান উন্নয়নে শিক্ষকদের এই ১১ তম গ্রেড অতীব জরুরী বলে মনে করি।
রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো:শাহিন ফরাজি সকালের খবর ২৪ কে বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাঙ্গাবালী উপজেলা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।আমরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে এই শিক্ষকতায় পেশায় এসেছি। আমাদের তৃতীয় শ্রেণীর ১৩ তম এ গ্রেড প্রদান করেছে সরকার যা অসম্মান ও কাম্য নয় এবং তা প্রত্যাখ্যান করছি।আমাদের দাবি ১১ তম গ্রেড এবং ১০ তম বছরে ও ১৬ তম বছরে উচ্চতর গ্রেড জটিলতা নিরোসন সহ সকল দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষকদের এই কর্মসূচি ।সারা বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শিক্ষকদের উপরে দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচি পালন করছে। দেশের দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি সামলানো অন্য দিকে ঋণের বোঝা নিয়ে ধেয়ে বেড়াচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকরা।রাঙ্গাবালী উপজেলা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি রাফেজা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পর অবসরে গেলেও তাকে ওই একই পদমর্যাদা সহকারী শিক্ষক হিসাবে চলে যেতে হয়। যেটা শিক্ষা জাতির কারিগর হিসাবে থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন। নিত্য নতুন অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে পরিবারকে সামলাতে হয় শিক্ষকদের।