ঢাকা, সোমবার, ৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
শার্শার এক ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগের নেতাসহ গ্রেফতার ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
ফরিদপুর জেলা আ’লীগের সম্পাদকের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন
পল্লবীতে বিশেষ অভিযানে পেশাদার ছিনতাইকারীসহ গ্রেফতার ২৬
আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবি ক্লাস বর্জন করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল
মহাখালীতে ছিনতাইকারীর হ্যাচকা টানে নারীর মৃত্যু, গ্রেফতার ২
ঢাকা উত্তরের যুবলীগ নেতা সফুর উদ্দিন গ্রেফতার
“মানবিকতার মশাল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল:ষড়যন্ত্রের মাঝেও এক নির্ভীক পথচলা”
পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাউদ, সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাবু নির্বাচিত
সকল উন্নয়নমূলক ও সংস্কার কাজের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিতে হবে:ডিএনসিসি প্রশাসক
তানোরে প্রেমের খপ্পরে ৭দিন ধরে নিখোঁজ ছেলে, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পিতা
তানোরে’ প্রতিবন্ধী’ বলাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা মারপিট, আহত ৪
ফায়ার সার্ভিস আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক : ডিজি
মোহাম্মদপুরে সাড়াশি বিশেষ অভিযান,গ্রেফতার ৩০
রাজবাড়ীতে মাদক ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রেফতার

“মানবিকতার মশাল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল:ষড়যন্ত্রের মাঝেও এক নির্ভীক পথচলা”

“সফলতার শিখরে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল:ষড়যন্ত্রের জালে এক শিক্ষা সংগ্রামী” রাজধানীর মিরপুরের অন্যতম সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বর্তমানে নানা মুখী ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ২০০৪ সালে,বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপেই ছিল উন্নয়ন, মানবিকতা ও নেতৃত্বের শক্তিশালী ছাপ।

২০১১ সালের ১ জানুয়ারি,তিনি মিরপুর পল্লবীর ডি-ব্লকের রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত তিনি একই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিদ্যালয়টির অবস্থা ছিল করুণ; শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই কম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনাও ছিল দুর্বল। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিদ্যালয়টির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। কর্মদক্ষতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে সরাসরি তদারকি করেন,শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে পেশাগত উদ্দীপনা সঞ্চার করেন। অল্প সময়েই রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একটি আধুনিক ও সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়,যা মিরপুর অঞ্চলে ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে তিনি মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ২০৮ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আন্তরিক ও পারিবারিক। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অভিভাবকের মতো। তিনি শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো আগলে রাখেন এবং তাঁদের কল্যাণে সদা তৎপর থাকেন। তাঁর এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বহু প্রাক্তন শিক্ষার্থী,যারা ইতিমধ্যে শিক্ষা জীবন শেষ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন,সুযোগ পেলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ-এর বিষয়ে জানতে তাঁর আগের কর্মস্থল রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক জানান,

“মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্যার যতদিন এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন, ততদিন তিনি নিজের দক্ষতা দিয়ে বিদ্যালয়টিকে আগলে রেখেছিলেন। একের পর এক উন্নয়ন করেছেন। তাঁর কর্মজীবনে সবার সঙ্গে ছিল অসাধারণ ভালো সম্পর্ক। তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়গুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর ছিল। আমরা সবসময়ই তাঁর সঙ্গে কাজ করে দারুণ সময় কাটিয়েছি।”

তাঁর এই জনপ্রিয়তা ও সুনামই প্রমাণ করে,আজ যাঁরা তাঁকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা সংখ্যায় গুটিকয়েক — মাত্র ৪-৫ জন ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক। অথচ মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২০৮ জনই তাঁর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট যে, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এসেছেন। যদি তিনি খারাপ মানুষ হতেন, তবে তাঁর প্রতি এত সহকর্মীর ভালোবাসা ও সম্মান থাকত না।

তবে দুঃখজনকভাবে,তাঁর এই অসামান্য সাফল্য অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা রকম মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বলেন, “আমি আমার কর্মজীবনে যেখানে যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি,সেই প্রতিষ্ঠানকে নিজের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে সবসময় উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছে,তাঁদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। সেই সব মুহূর্তের ছবি কিছু অসাধু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে। আমি এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

এছাড়া মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ পল্লবী ও রূপনগর থানায় পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হন এবং তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় মীরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজও এই দুই থানার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হয়।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ-এর একনিষ্ঠতা,কর্মদক্ষতা, সাহসিকতা ও মানবিক গুণাবলি — শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ