নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পতিত আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মীরা নিজেদের বিএনপি সমর্থক দাবি করে গভীর রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য আলেয়া বেগমের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাসের হাট রাস্তার মাথায় জমি দখলের এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মালেকীয় ও দখলীয় এক একর ৫৬ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী শেখ ফরিদ উদ্দিন ও তার ভাই জাকের হোসেন। গত ৫ আগস্টের পর তারা নিজেদেরকে বিএনপি সমর্থক দাবি করে আমার জমি দখলের চেষ্টা করে। এই নিয়ে আদালতে দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতের আঁধারে শেখ ফরিদ ও তার ভাই জাকের হোসেন ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী ভাড়া করে ভেকু মেশিন দিয়ে আমার জমির মাটি কেটে দখলে নেয়ার কাজ শুরু করে। এসময় খবর পেয়ে আমি ৪জন আত্মীয় মহিলা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। এসময় আমরা নিরাপদে সরে গিয়ে আশ্রয় নিই। কিন্তু আমাদের সঙ্গে থাকা ফাতেমা আক্তার নামে আমার এক আত্মীয়কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আলেয়া বেগম আরো বলেন, রাতেই আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে ৯৯৯ থেকে আমাকে চরজব্বর থানার পুলিশের নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে পুলিশকে আমি একাধিক বার কল করলেও আজ দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ আসেনি এবং আমার আত্মীয় ফাতেমাকে খুঁজে পায়নি।
আলেয়া বেগম বলেন, আজ শনিবার সকালে আমি চরজব্বর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে গড়িমসি করছেন। জোরপূর্বক জমি দখলদার বাহিনীর বিচার দাবি করেন এই নারী প্রতিনিধি।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শেখ ফরিদ উদ্দিনকে ফোন করলে তিনি জানান, এটা আমাদের ৪০ বছরের জমি, তাই আমরা নিজেদের জমিতে মাটি কাটিয়েছি। তবে, রাতের আঁধারে মাটি কাটার বিষয়ে কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি তিনি।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে অভিযোগকারী কাউকে ঘটনাস্থলে পায়নি এবং আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিআই/এসকে