দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে উপজেলার ২নং ধরঞ্জী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলামকে আওয়ামীলীগের দোসর বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করায় প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে রতনপুর বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,গত বেশ কয়েকদিন থেকে আমাকে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরের তকমা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।
উক্ত ফেসবুক পোস্ট গুলোতে আমাকে আওয়ামীলীগ নেতা, বালু ব্যবসায়ী ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ছেলেদের চাকুরী নিয়েছি মর্মে অপ্রচার করেছে।প্রকৃত পক্ষে আমি বা আমার পরিবারের কেউ কোন কালে আওয়ামীলীগ করিনি বরং আমি ও আমার পরিবার বিএনপির নিবেদিত কর্মী ও সমর্থক। সে কারণে বিগত দুটি ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুন ভোট পেয়ে আমি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমাকে সমাজে ও দলের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অপ্রচার চালাচ্ছে।এই অপ্রচারের অংশ হিসাবে তারা আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আমার কিছু ছবি ও আওয়ামীলীগ সময়ে আমার ছেলেদের চাকুরী পাওয়াকে ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো বলেন,আমি একজন ইউপি সদস্য। সে কারণে বিভিন্ন সরকারী উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্থর, উদ্বোধন, মাদক নির্মুল, বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হয়। সেখানে আওয়ামীলীগ নেতারাও উপস্থিত থাকেন। আর এখন সেই ছবি আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। অথচ সেই ছবিগুলোতে আমার পরিষদের প্রায় সকল ইউপি সদস্যই উপস্থিত থাকলেও শুধু আমাকে নিয়ে এত ষড়যন্ত্র কেন?
তারা অপ্রচার করছে আমি আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে আমার দুই ছেলেকে চাকুরী পাইযে দিয়েছি। অথচ আমার বড় ছেলে তার মেধা ও যোগ্যতার বলে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছে। একই ভাবে আমার ছোট্ট ছেলেও মেধা ও যোগ্যতায় রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী লাভ করে। আমি ও আমার পরিবার যেহেতু কোন দিন আওয়ামীলীগ করিনি সেহেতু এখানে প্রভাব খাটানোর কোন প্রশ্নই আসে না। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ে তাদের নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্য কেউ কোন ঘাট থেকে বালু তুলেছে এমন কোন নজির নেই। কিন্তুু তারা আমাকে বালু ব্যবসায়ী বলে তকমা দিয়েছে।আমি কৃষি কাজ সহ বৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসায়িক কারণে ও বিএনপির সমর্থিত হওয়াই আমাকে গত ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের নেতারা ডাকাতি মামলার আসামী করে ৫৫ দিন জেল খাটিয়েছেন। রিমান্ডের নামে ৭ দিন অমানুষিক নির্যাতন করেছে আমাকে। সর্বশেষ ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে জুলাই আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের অর্থ সহযোগিতা করার কারণে আমাকে প্রশাসন দ্বারা বিভিন্ন ভয় ভীতি ও প্রাণ নামের হুমকি প্রদান করেন আওয়ামীলীগ নেতারা। অথচ সেই আমার বিরুদ্ধেই এই মিথ্যা অপপ্রচার। আমার জনপ্রিয়তায় ক্ষুন্ন হয়ে প্রতিপক্ষরা এসব ষড়যন্ত্র করছে। আমি এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গ্রামবাসী আব্দুল মতিন সরদার, আবু তালেব ও শাহার আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।