
রাজধানীর দক্ষিণখানে ঢাকা রেললওয়ে থানার কাওলা রেলগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুড়িকাঘাতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের গাড়িচালক আরমান আলী (২৬) নিহতের ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীতেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, কাজ শেষে বাসা ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন আরমান। এই সময়ে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুড়িকাঘাত করা হয়। আর এতেই তার মৃত্যু হয় তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আকাশ (১৯) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩০)। গতকাল রবিবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার ( ৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মোটর পরিবহন এর চালক আরমান আলী (২৬)। তিনি ১৪ বছর ধরে সিভিল এভিয়েশনের গাড়ি চালাতেন। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় অফিসের ডিউটি শেষে কাওলা আবাসিক এলাকায় বাসায় ফেরার পথে কাওলা রেল লাইনে ৩/৪ জন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে আরমানের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়ে তাদের সঙ্গে আরমান ধস্তাধস্তি করলে চাকু দিয়ে এলোপাতারি ছুড়িকাঘাত করে। পরে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগসহ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ছিনতাইকারীদের ছুড়িকাঘাতে আহত আরমানকে স্থানীয়রা একটি বেসরকরি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় নিহতের বোন জামাই মোকলেছ উদ্দিন ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছায়াতদন্তে নেমে এই ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার দুই ছিনতাইকারীর বরাত দিয়ে র্যাব-১ এর অধিনায় আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও তার আশেপাশে এলাকায় রেল-বাস যাত্রীদের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। তাদের ছিনতাইয়ে বাধা দিলে চাকু ও ব্লেডসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুড়িকাঘাত কর। আকাশের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় হত্যাসহ চারটি মামলা ও বিল্লালের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামরার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিআই/এসকে