
নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা সুবর্ণচরে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসা কোরআনের আলো ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র বিচারক ও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্বারী ডক্টর শায়খ শোয়াইব আল-আজহারী।
সোমবার বিকালে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসা মিলনায়তনে নতুন হিফজ সবক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মিশর থেকে ইলমুত তাজবীদ ও দশ ক্বিরাতের উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত ও মুত্তাছিল সনদের মুজিয ডক্টর শায়খ শোয়াইব আল-আজহারী বলেন, আমি এই মাদরাসার সফলতার গল্প শুনেছি। এই মাদরাসা থেকে জাতীয় পর্যায়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্ত হাফেজ রয়েছে, মাত্র ৬ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন ৩জন। মাত্র তিন বছরের মাথায় উপকূলীয় এলাকার একটি মাদরাসায় এত বড় সফলতা, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
সবক অনুষ্ঠানে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা এএইচএম নাছরুল্লাহ সভাপতিত্বে এইচএম আবদুল হান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা ইয়াছিন ও হাফেজ তারিক জামিল।
মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কুরআনের শিক্ষার গুরুত্ব এবং জীবনে কোরআনের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
মাদরাসার পরিচালক মাওলানা এএইচএম নাছরুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল প্রতিষ্টিত দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসা থেকে ৬ মাসে তাকলিম উদ্দীন, এমদাদুল্লাহ ও তামিম ইকবাল নামের ৩ ছাত্র কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় কোরআন প্রতিযোগিতায় উপকূলের এই মাদরাসার কৃর্তি শিক্ষার্থী হাফেজ আবদুল্যাহ আল ফাঈদ, হাফেজ মাইদুল ইসলাম, হাফেজ তাকলিম উদ্দিন ও হাফেজ আবু বক্কর ছিদ্দিক শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার লাভ করেন। চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে কোরআনের আলো ছড়িয়ে বিশ^ব্যাপী সুবর্ণচরের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সবক অনুষ্ঠানে মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, স্থানীয় মান্য-গন্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত সবক অনুষ্ঠানটি সবার মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা এবং মূল্যবোধের প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করে।