
রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার বাইজিদের তাণ্ডবে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। ইসলামিয়া হাসপাতালের গলি ও আশপাশের এলাকা এখন যেন কিশোর অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা। প্রকাশ্যে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আলামিন নামের এক কিশোর এই গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরও কয়েকজন—বিশেষ করে বাইজিদ ও সজিব । এরা দলবেঁধে পথচারীদের ভয়ভীতি দেখায়, নারীদের উত্যক্ত করে, এমনকি দোকানপাটেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—এই কিশোর গ্যাং সদস্যরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে থাকে। এলাকার বিভিন্ন গলিতে দাঁড়িয়ে তারা গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করে। কেউ বাধা দিতে গেলে উল্টো তার ওপর তেড়ে আসে আলামিন গ্রুপ। অনেক সময় গালাগাল ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর দাবি,ইসলামিয়া হাসপাতালের গলিতে অবস্থিত একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলার কারণে ভবনটিতে এখনও তেমন কোনো বসবাস নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলামিন গ্যাং ভবনটিকে মাদকের আস্তানায় পরিণত করেছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, ভবনের ভেতরেই চলে তাদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
বেশ কিছুদিন আগে আলামিন গ্রুপের এক সদস্যকে ভবনে প্রবেশে বাধা দিলে,ওই ভবনের দারোয়ানকে মারধর করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়—এমন শত শত অভিযোগ রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
তবে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন—“অভিযোগের পর অভিযোগ, কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা কেন এত নীরব?”
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত পুলিশের কঠোর অভিযান ও নজরদারি ছাড়া এই কিশোর গ্যাংকে থামানো সম্ভব নয়।