মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি;
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কোন না কোন পয়েন্টে প্রতিনিয়ত মানুষ,পশুর প্রাণ ও অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে জোবাইর নামের এক বাংলাদেশী যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি এক তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে বিগত, ৩ মাসে মিয়ানমার সীমান্তে সে দেশের বিদ্রোহী সংগঠন আর্কান আর্মির পুতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুম সীমান্তে একজনের প্রাণহানিসহ অন্তত ১০ জন হতাহতের শিকার হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য গবাদিপশু ও বন্যপ্রাণী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আরিফ উল্লাহ ছোট্টসহ অনেকে জানান এই পর্যন্ত সীমান্তে যারা পা হারালো ও আহত হয়েছে এরা হলেন আব্দুস সালাম, তৈয়ব উল্লাহ,মোহাম্মদ বাবু, আনসার ভিডিপির সদস্য নবী হোসেন,মোঃ রাসেল,সিরাজুল ইসলাম (প্রকাশ ধলা পুতিয়া) বেলাল হোসেন দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ ১০ জন।
এসব ব্যক্তিরা ঘুমধুৃৃমের তমব্রু, দোছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি,বাহির মাঠ ও,সদর ইউপির ফুলতলী,বাম হাতির ছড়া,জামছড়ি, চাকঢালা,সীমান্ত পয়েন্টের বিভিন্ন সময়ে মরণ নেশা ইয়াবা,আইস,গরুসহ চোরাইপণ্য আনা ও পাচার করতে গিয়ে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তাদের পা বিচ্ছিন্নসহ হতাহতের শিকার হয়।
সর্বোশেষ শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চেরারমাঠ সীমান্ত পিলার এলাকার শুণ্যরেখায় আহত হয় মো:জোবাইর ( ২৬ )। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেরারমাঠের লম্বামাঠ গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক।
জুবাইরের পারিবারিক সূত্র জানায়,সে দুপুরে লাকড়ি আনতে গিয়ে শূণ্যরেখায় পৌঁছলে হঠাৎ বিকট আওয়াজে একটি ল্যান্ডমাইন বিষ্ফোরিত হয়। সাথে সাথে তার বাম পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়। সে পড়ে যায়। আওয়াজ শুনে লোকজন এসে তাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জোবাইর আহতের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো: মাসরুল হক। এসময় তিনি দৈনিক দিনকালকে বলেন, সীমান্তে অনেকে আহত হয়েছে এসব ব্যক্তিরা পুলিশ কিংবা বিজিবির বাঁধা উপেক্ষা করে চোরাই পুণ্য পাচার ও আনা নেওয়ার সাথে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমার অভ্যন্তরে যাওয়াতে এসব ঘটনার কবলে পড়েন তিনি জানতে পারেন। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপে সীমান্তে চোরাই পুণ্য আনা নেওয়া কিছুটা বন্ধ হলেও ইয়াবার চালান আসা বন্ধ হচ্ছে না।