
বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শনিবার দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে। ঝড়ের আঘাতে উপজেলার বড়ভিটা বাজারে বিশালাকৃতির বটগাছ উপড়ে পড়েছে। এতে বাজারটির অন্তত ১০ টি দোকান লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার।
বাজারটির ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বড়ভিটা বাজারের ঠিক মাঝখানে প্রায় ৬০ বছর বয়সী বিশালাকৃতির বটগাছ ছিল। শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ওঠে। ঝড়ের আঘাতে এই বটগাছটি দোকান ঘরের উপর উপড়ে পড়ে। এসময় দোকান ঘরে থাকা লোকজন ভাগ্যক্রমে বের হতে পারলেও লণ্ডভণ্ড হয়েছে অন্তত ১০ টি দোকান। বেশিরভাগ দোকানের মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বাজারটির ঔষধ ব্যবসায়ী এরশাদুল হক বলেন, আমার ঔষধের দোকানের উপর গাছ উপড়ে পড়েছে। দোকানের কোন মালামাল অক্ষত নাই। আমি কিভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবো কোন দিশা পাচ্ছি না। চায়ের দোকানদার ইব্রাহিম খলিল বলেন, বাজারে আমার চায়ের দোকারটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। দোকান থেকে যা আয় রোজগার হতো তা দিয়েই সংসার চালাতাম। এখন কিভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছি না।
মুদি দোকানি এমদাদুল বলেন, আমার দোকান ঘরটি গাছ চাপা পড়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। দোকানের ভিতরে থাকা চাল ডাল বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। দোকানের বারান্দায় রাখা আমার মোটরসাইকেলটিও দুমড়ে মুছড়ে গেছে। বড়ভিটা বাজারের ইজারাদার মকছেদুল হক জানান, ঝড়ে বটগাছ উপড়ে পড়ে বাজারের একটি চায়ের দোকান, একটি ঔষধের দোকান ও আটটি মুদি দোকান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এসব দোকানের বেশিরভাগ মালামাল নষ্ট হয়েছে।
বড়ভিটা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খয়বর আলী মিয়া বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে। ঝড়ে তাদের দোকানের কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমন অবস্থায় সরকারি ও এনজিওদের সহযোগিতা না পেলে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ঘুরে দাঁড়ানোর আর কোন উপায় থাকবেনা। বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা রেহনুমা তারান্নুম বলেন, বড়ভিটা বাজারে দোকান ঘরের উপর উপড়ে পড়া বটগাছটি অপসারণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় যেসব দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।