
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন দল “নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি)”। আজ শনিবার দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাবিত দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মেজর সিকদার আনিসুর রহমান (অব:) জানিয়েছেন, তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় গর্ববোধ করেন। সেই আন্দোলনের ন্যায্যতা ও গণহত্যার বিচার দাবিতে তাদের অবস্থান আপোষহীন বলেও উল্লেখ করেন তারা।
নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি)’র প্রস্তাবিত মহাসিচব শিল্পপতি এবং বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট সংগঠনের নেতা দয়াল কুমার বড়ুয়া ।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়,দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চা, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা গঠনে দলটি কাজ করবে। পাশাপাশি দেশের ভেতর রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিজেদের মধ্যে সমাধানের পক্ষে এনবিপির অবস্থান স্পষ্ট করা হয়।
বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে নতুন বাংলাদেশ পার্টি জানায়, কোনো ঔপনিবেশিক মনোভাব বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট গঠনের কথা উল্লেখ করে তারা দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশেষভাবে দলটি ঘোষণা করেছে, তারা পুরনো রাজনীতির ধারা ভেঙে একটি স্বনির্ভর, চাঁদাবাজিমুক্ত রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলবেন। দলটির গঠনতন্ত্র এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে ক্ষমতায় না থেকেও জনগণের সমস্যা সমাধানে একটি প্যারালাল কার্যকর ব্যবস্থা রাখা যায়।
নতুন বাংলাদেশ পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন বিভিন্ন পেশাজীবী, সাবেক উচ্চপদস্থ সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং দেশের ভেতরে ও বিদেশে অবস্থানরত দেশপ্রেমিক নাগরিকরা। বিশেষ করে উদীয়মান যুবসমাজের বড় অংশের অংশগ্রহণের কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।
দলটি শিক্ষার্থীদের ২১ বছর পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জানায়, উচ্চশিক্ষার সুযোগ, বাধ্যতামূলক মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনার্স পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার দাবিও তোলে দলটি।
ঘোষণাপত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে “দ্রুত ও কঠোর বিচার” এবং “রিওয়ার্ড ও পানিশমেন্ট” নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এনবিপির নেতাদের দাবি, তারা সমাজের সচ্ছল, শিক্ষিত ও স্বচ্ছ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের নিয়েই দলটি গঠন করেছেন।
বর্তমানে নতুন বাংলাদেশ পার্টির নিবন্ধন প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলমান রয়েছে। দলটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, খুব শিগগিরই তারা নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি পাবে।
ডিআই/এসকে